জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দুই প্রস্তাব অনুমোদন, ব্যয় ৫৯৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা
Published: 22nd, April 2025 GMT
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ৫৯৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪০ টাকা ১ কার্গো (১২-১৩ জুন ২০২৫ সময়ে ২৩তম) এলএনজি আমদানি ও ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৩ লাখ ৫ হাজার ১৪৪ টাকা ভেরিয়েশেনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই দুই প্রস্তাব মোট ব্যয় হবে ৫৯৯ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪হাজার ৯৮৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সরাকরি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি কাজে অর্থ উপদেষ্টা বিদেশে অবস্থান করায় তিনি ভার্চুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পেট্রোবাংলার এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে ৪টি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর এই এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১২.
আরো পড়ুন:
সিপিডির গবেষণা: ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বেড়ে ১৮৯ টাকা
সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
জানা গেছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ এর অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স কনট্রাক্টর নিয়োগের লক্ষ্যে বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত ও অন্যান্য পরামর্শক সেবা প্রদানের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএলএফ কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, ইউএইকে ২০ লাখ ২১ হাজার ১২৫ মার্কিন ডলারে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬২ মার্কিন ডলার ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি ডলারের দাম ১২২ হিসেবে ব্যয় বাড়বে ১ কোটি ৩ লাখ ৫ হাজার ১৪৪ টাকা।
ভেরিয়েশনের কারণ হিসেবে জানা গেছে, বিশেষ বিধান আইনের অধীন চলমান ক্রয় কার্যক্রম স্থগিত করায় সিঙ্গেল সোর্স পদ্ধতিতে ঠিকাদার নিয়োগের বিড ডকুমেন্ট বাতিল হয় পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিটুজি (সরাসরি) ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগের বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা হয়। আবার পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে নিয়োগের জন্য বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা হয়।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
পিটার হাস কোন কোম্পানিতে আছেন, ভালো করে জানি না: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হয় আন্তর্জাতিক বাজার যাচাই করে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, চীন, সিঙ্গাপুর—যে দেশ থেকেই আনা হয় না কেন, তুলনামূলক দর দেখা হয়। বিষয়টি এত সহজ নয় যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানিকে কাজ দিয়ে দেওয়া হবে। আর পিটার হাস কোন কোম্পানিতে আছেন, তা ভালো করে জানিও না আমরা।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথাগুলো বলেন।
অর্থ উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন ছিল, এলএনজি আমদানিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কোম্পানিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে কি না।
মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা পদে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে যোগ দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এর আগে তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০২২ সালের মার্চ থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
অ্যাকসিলারেট এনার্জি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উডল্যান্ডে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এলএনজি সরবরাহের পাশাপাশি এলএনজি রূপান্তরের ভাসমান টার্মিনাল ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে তারা।
বিভিন্ন দেশের ২৩টি কোম্পানি থেকে বাংলাদেশ এলএনজি আমদানি করছে। এর মধ্যে অ্যাকসিলারেট এনার্জিও রয়েছে।
কর্মসংস্থানকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বেশি কর্মসংস্থান হয় বেসরকারি খাতে। ব্যবসা–বাণিজ্য যদি একটু মন্থর হয়ে যায়, সেটা অবশ্যই প্রভাব পড়ে। ব্যবসাটা মাঝখানে একটু মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্কের হার ২০ শতাংশ থেকে আরও কমবে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর। তারা ঘাটতিটা কমানোর জন্য কী কী আমদানি করতে পারে, দেখছে। সেখানে মোটামুটি আমরা ভালো অবস্থানে আছি।’
সার আমদানি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিষয়টা দেখছি। চট করে ব্যবস্থা নেব না। বিস্তারিত জানি না, সার আনে বেশির ভাগ কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়। এটা তাদের দায়িত্ব। বিষয়টা আরও খতিয়ে দেখব।’