নিজের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়ে আবারও বিব্রত চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ফরিদা আক্তার ববিতা। এবার তাঁর নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছে অসুস্থতার খবর। ওই পোস্টে হাতে ক্যানোলাসহ ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে ‘এবার দেশে এসে বেশির ভাগ সময় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছি। তাই অসুস্থতা পিছু ছাড়ছে না।’
ফেসবুকে এই শিল্পীর নামে আইডি খুলে কারা এমনটা করছেন, বুঝতে পারছেন না তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত ও আতঙ্কিত এ অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘জীবনে ফেসবুক ব্যবহার করিনি। অথচ প্রায়ই কোনো অনুষ্ঠানে হাজির হলে আমাকে শুনতে হয়, আপনি তো আমার ফেসবুক বন্ধু। আগেও বলেছি, আবারও জোর দিয়ে বলছি আমি কখনো ফেসবুক ব্যবহার করি না, আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। কারা যেন আমার নাম ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি তৈরি করেছে এবং আমার নাম দিয়ে নানা বিষয় পোস্ট করছে। গত সোমবার জানতে পারলাম সেই ফেক ফেসবুক আইডিতে একটি স্যালাইনযুক্ত হাতের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে আমি অসুস্থ। খবরটি পুরোপুরি ভুয়া। আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘বছরের বেশির ভাগ সময় ছেলের কাছে কানাডা থাকতে হয়। দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় বেশ আগে মেসেঞ্জারে আমার নামের ভুয়া আইডি দিয়ে অনেকের কাছে টাকাও চাওয়া হয়েছিল। পুরো বিষয়টি আমার জন্য ভীষণ অস্বস্তিকর। শুরুতে বিষয়টা পাত্তা দিইনি, এখন তো খুব ভীতিকর লাগছে। অনেক আগে ফেসবুকে দেওয়া হয়েছিল আমি নাকি মারা গেছি! পয়সা কামানোর জন্য তারা এমনটি করছে বলে মনে হয়। যারা এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ করছে, তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, এই ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করলে শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নিব। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর খবরে মোটেও কান দেবেন না।’
১৯৬৮ সালে ‘সংসার’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন ববিতা। এরপর নিয়মিত অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারে প্রায় তিনশ সিনেমায় অভিনয় করা এই শিল্পী আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।অভিনয় থেকে বর্তমানে দূরে আছেন ববিতা। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমায়। ভালো গল্প ও চরিত্র না পাওয়ায় অভিনয় করছেন না এ অভিনেত্রী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বব ত অভ ন ত র ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন
দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে চীনের কোস্টগার্ড দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এ ঘটনা ফিলিপাইনের সঙ্গে দেশটির আঞ্চলিক বিরোধ আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
চীনা গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত ছবিতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিরোধপূর্ণ প্রবালপ্রাচীর স্যান্ডি কে-তে কালো পোশাক পরা কোস্টগার্ডের চার কর্মকর্তাকে চীনের জাতীয় পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এপ্রিলের শুরুর দিকে চীন ওই প্রবালপ্রাচীরে ‘সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করেছে’, সিসিটিভি এমনটাই জানিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের বেশ কিছু দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের পাল্টাপাল্টি দাবি আছে।
এ ঘটনার পর রোববার ফিলিপাইন তিনটি বালুচরে নামার কথা জানায় এবং চীনের ছবির অনুকরণে তাদের কর্মকর্তারাও একটি প্রবালপ্রাচীরে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছে এমন একটি ছবি প্রকাশ করে। অবশ্য ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী যেসব বালুচরে নেমেছে, তার মধ্যে কোনোটি স্যান্ডি কে কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।
এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি জানায়, তারা একটি বালুচর থেকে এক হাজার গজ দূরে চীনা কোস্টগার্ডের একটি নৌযান এবং আরও সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযানের ‘অবৈধ উপস্থিতি’ দেখতে পেয়েছিল।
পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে দেশের সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার ও কর্তৃত্ব রক্ষায় ফিলিপাইন সরকারের অবিচল নিষ্ঠা ও দৃঢ় অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ এই অভিযান,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
রোববারই পরে এক বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ড জানায়, তারা তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে ৬ ফিলিপিনোর ‘অবৈধভাবে নামার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে’। স্যান্ডি কে চীনে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীর নামে পরিচিত।
চীনের দিক থেকে সতর্কবার্তা ও নিরুৎসাহিত করার পরও ফিলিপাইনের ছয়জন অবৈধভাবে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে নামে। চীনের কোস্টগার্ড সদস্যরা এরপর ওই প্রবালপ্রাচীরে নামে এবং তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লিউ দেজুন এমনটাই বলেছেন।