জয়কে নিয়ে নিজেকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন মুমিনুল
Published: 22nd, April 2025 GMT
কঠিন সময় পার করে ফেলেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। আগের দিন শেষ বিকেলে দুই সুযোগ দেওয়ার পরও বেঁচে গিয়েছিলেন। আজও জিম্বাবুয়ের পেসারদের বাউন্সার সামলে নিয়েছিলেন শুরুর ঘণ্টায়। কিন্তু বড় রান করার অভ্যাস না থাকায় উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। ছোবল দেওয়া বাউন্সারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ৬৫ বল ক্রিজে কাটিয়ে ৩৩ রান করে জয় আউট। মুমিনুল হকের সঙ্গে জয়ের জুটি ৬০ রানের।
তৃতীয় উইকেটে শান্ত মুমিনুল আবার হাল ধরলেন। যোগ করলেন ৬৫ রান। এবার মুমিনুল পথ ভুললেন। ফিফটি ছোঁয়া থেকে ৩ রান দূরে থাকতে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। সেট হওয়া দুই ব্যাটসম্যান খুব সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। তাদের পথ ধরে মুশফিকুর রহিম আউট হন ৪ রানে। তাতে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে ৪৪ ওভারের খেলায় ১৩৭ রান যোগ করতে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অথচ সুযোগ ছিল স্কোরবোর্ডের চিত্র আরো সুন্দর করার। হয়নি। না হওয়ার পেছনে দুই সেট হওয়া ব্যাটসম্যানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মুমিনুল।
আরো পড়ুন:
মুশফিকের হয়ে ‘ব্যাট’ করলেন মুমিনুল
বৃষ্টিস্নাত দিনে স্বস্তির সঙ্গে আছে শঙ্কাও
সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেছেন, ‘‘এখানে অনেক জনকে দোষ দিতে পারবেন। কিন্তু যারা সেট হয়ে আউট হয়েছে, যেমন আমি ও জয় সেট হয়ে আউট হয়েছি। আমার মনে হয় এখানে তাদের (সেট ব্যাটসম্যান) দায়িত্ববোধটা বেশি থাকে। যে দশের নিচে আউট হবে, সকাল সকাল আউট হবে তার কিন্তু সেভাবে কিছু করার থাকে না। যারা সেট হয়ে আউট হচ্ছে তাদের দায়িত্বটাই বেশি। আমার কাছে মনে হয় আমার দায়িত্বটা বেশি ছিল। ওই দায়টা আমার নিতে হবে। জয়েরও নিতে হবে জিনিসটা।’’
প্রথম ইনিংসে ৫৬ রান করা মুমিনুল এবার ৪৭ রানে ফেরেন সাজঘরে। দুটিই আলগা শটে। এই টেস্টের আগে পাঁচদিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রস্তুতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা মুমিনুল, ‘‘প্রস্তুতি নিয়েছি পাঁচ দিন। আমার কাছে মনে হয় না খুব একটা ভালো প্রস্তুতি … যাক যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। যতুটুকু হয়েছে। যখন টেস্ট ম্যাচ খেলি তখন একশর চিন্তা করে খেলি না। খেলি চার সেশন বা পাঁচ সেশন ব্যাটিং করা যায়। আমি যে সিনিয়র ব্যাটসম্যান আমার কাছে মনে হয় আমি সেট হয়ে আউট হয়েছি। ম্যাক্সিমাম এক সেশন খেলতে পেরেছি। সিনিয়র হিসেবে এক সেশন কোনোভাবেই কামন্য না। আমি যদি তিন সেশন ব্যাটিং করতে পারতাম তাহলে প্রথম ও সেকেন্ড ইনিংসে ভালো অবস্থানে চলে যেতে পারতাম।’’
হাতে ৬ উইকেট রেখে বাংলাদেশ ১১২ রানে এগিয়ে আছে। দল এই রানকে তিনশতে নিয়ে যেতে চায়। মুমিনুলের বিশ্বাস, উইকেটে যারা আছে ও পরের ব্যাটসম্যান যারা আছে তারা অবদান রাখতে পারলে তিনশর কাছাকাছি রান করা সম্ভব, ‘‘৩০০ হলে খুব ভালো। যদি না হয় ২৭০-২৮০ হলেও ভালো। আত্মবিশ্বাসী এই কারণে যে শান্ত ও জাকিরে পর আমাদের টেল এন্ডার যারা আছে তাইজুল ও হাসান ব্যাটিং করতে পারে। এ কারণে আত্মবিশ্বাসটা বেশি। মিরাজও আছে।’’
ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিংয়ের কথা বললেন মুমিনুল, ‘‘অনেক ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং করতে হবে। খেলাটা কালকে সকালে হয়তো হার্ড হয়ে আসতেও পারে। ওই সময়টায় আমাদের ক্যালকুলেটিভ খেলতে হবে। আবার খেলাটা একটা সময়ে ছাড়বে। আবার একটা সময়ে খেলবে বাংলাদেশ। আমার ও শান্তর যেমন পঞ্চাশ রানের জুটি ছিল। সেখানে কিন্তু আমরা বের হয়ে গেছি। কালকে যখন এরকম পরিস্থিতি আসবে তখন এরকম একটা জুটি গড়লে আমরা আমাদের যেই লক্ষ্য ৩০০ সেখানে পৌঁছতে পারব।’’
মুমিনুল রান চান লেজের ব্যাটসম্যানদের থেকেও, ‘‘মুশফিক ভাই, আমি বা শান্ত রান করি না কেন, শেষ দিকে টেল এন্ডাররা যদি ৫০ রানও যোগ করে তাহলে ওই ৫০ রানের জন্য কিন্তু ম্যাচ জেতা সম্ভব। তার মানে এই নয় যে আমরা টেল এন্ডারদের ওপর নির্ভরশীল। যখন খেলবে ওরা খেলবে। আমি মিন করেছি যে ওরা খেলতে পারে। এটা প্লাস পয়েন্ট।’’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন র ন কর স ট হয় উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
তেহরানে কুদস ফোর্সের সদর দপ্তরে হামলা, দাবি ইসরায়েলের
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) সামাজিক মাধ্যম এক্সে আজ সোমবার এক পোস্টে জানিয়েছে, তারা ইরানের রাজধানী তেহরানে কুদস ফোর্সের সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। খবর আল জাজিরার
কুদস ফোর্স হলো ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) বিদেশি শাখা, যা লেবানন থেকে ইরাক, ইয়েমেন এবং সিরিয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করে।
হামলার ব্যাপারে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইরানের নতুন হামলায় মধ্য ইসরায়েলে বিদ্যুৎ গ্রিডের ক্ষতি হয়েছে। সিএনএনের লরেন ইজসো এবং লেক্স হার্ভের প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানের হামলায় মধ্য ইসরায়েলের স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের ক্ষতি হয়েছে বলে ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন জানিয়েছে।
ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন বলেছে, নিরাপত্তা ঝুঁকি, বিশেষ করে বিদ্যুতের ছেঁড়া তার থেকে বিদ্যুতায়িত হওয়ার ঝুঁকি দূর করতে তাদের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। একই সময়ে, অবকাঠামো মেরামত এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।