Samakal:
2025-09-18@01:06:52 GMT

কাঁচা আমের কয়েক পদ

Published: 22nd, April 2025 GMT

কাঁচা আমের কয়েক পদ

বাজারে এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা আম মাখা খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি এর তৈরি আচারও বেশ মজার । চাইলে কাঁচা আম দিয়ে বিভিন্ন তরকারির পদও রান্না করতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন আলিফ’স ডেলিকেট ডিসেজের শেফ আলিফ রিফাত

মসুরির ডালে আম-পাটশাক   
উপকরণ: মসুরির ডাল ১-২ কাপ, পাটশাক ১ কাপ, আম ১টি লম্বা করে কাটা, হলুদ ১-৪ চা চামচ, কামরাঙা মরিচ ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ। 
প্রস্তুত প্রণালি: ডাল ধুয়ে হলুদ-লবণ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। ডাল ভালো করে গলে গেলে এতে লম্বা করে কাটা আম ও পাটশাক দিতে হবে। আম ও শাক সেদ্ধ হয়ে গেলে তেল গরম করে পেঁয়াজ-রসুনের বাগাড় দিতে হবে। এবার বোম্বাই মরিচ কেটে ১টি বলক উঠলে নামিয়ে ফেলতে হবে। তীব্র গরমে কাঁচা আম, পাটশাক দিয়ে রান্না করা এ ডাল-ভাতের সঙ্গে খেতে অনেক মজা।

শজিনা ডাঁটায় কাঁচা আম
উপকরণ: শজিনা ডাঁটা ৪-৫টি, মাঝারি সাইজের আলু ২টি, কাঁচা আম লম্বা করে কাটা ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ৩-৪টি, কালিজিরা ১-৩ চা চামচ, জিরা ১-৩ চা চামচ, শুকনা মরিচ ২-৩টি, হলুদ-মরিচ গুঁড়া সামান্য, সরিষার তেল ২-৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনিয়া পাতা কুচি সামান্য, চিনি সামান্য। 
প্রস্তুত প্রণালি: শজিনা ডাঁটা লম্বা লম্বা করে কেটে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে আলু ও শজিনা ডাঁটা ভেজে নিতে হবে। ওই তেলে জিরা, কালিজিরা ও  মরিচের ফোড়ন দিতে হবে। এবার সরিষা, পোস্ত বাটা, হলুদ-মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। মসলার কাঁচা গন্ধ দূর হলে ভেজে রাখা আলু, শজিনা ডাঁটা ও আম দিয়ে কষাতে হবে। এবার দেড় কাপ গরম পানি দিয়ে সব সবজি সেদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে ঝোল মাখামাখা হলে চিনি-ধনিয়া পাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। ইচ্ছে হলে সামান্য ঘি ওপরে ছড়িয়ে পরিবেশন করা যায়।

কাঁচা আম দিয়ে রুই মাছের ঝোল  
উপকরণ: রুই মাছ ৪ পিস, কাঁচা আম ঝুরি করে কাটা ২-৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ১-৩ কাপ, সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ, কালিজিরা ১-২ চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ৩-৪ টি, হলুদ গুঁড়া ১-২ চা চামচ, শুকনো মরিচ বাটা ১ চা চামচ, সরিষার তেল ২-৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১-৫ চা চামচ। 
প্রস্তুত প্রণালি: মাছ ভালোমতো ধুয়ে সামান্য লবণ-হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে সরিষার তেল গরম করতে হবে। তেল গরম হলে কালিজিরার ফোঁড়ন দিতে হবে। এবার পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভাজতে হবে। একে একে সরিষা বাটা, কাঁচামরিচ বাটা, হলুদ-মরিচ গুঁড়া, স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালোমতো কষাতে হবে। মসলার কাঁচা গন্ধ দূর হলে কেটে রাখা আম দিয়ে আবারও কষাতে হবে। এবার লবণ-হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা মাছ দিয়ে খুব সাবধানে কষাতে হবে। ১ কাপ গরম পানি ও চিনি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে সুস্বাদু এ আম দিয়ে রুই মাছের ঝোল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ য় হল দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।

এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’

ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি