Samakal:
2025-07-31@07:28:29 GMT

কাঁচা আমের কয়েক পদ

Published: 22nd, April 2025 GMT

কাঁচা আমের কয়েক পদ

বাজারে এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা আম মাখা খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি এর তৈরি আচারও বেশ মজার । চাইলে কাঁচা আম দিয়ে বিভিন্ন তরকারির পদও রান্না করতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন আলিফ’স ডেলিকেট ডিসেজের শেফ আলিফ রিফাত

মসুরির ডালে আম-পাটশাক   
উপকরণ: মসুরির ডাল ১-২ কাপ, পাটশাক ১ কাপ, আম ১টি লম্বা করে কাটা, হলুদ ১-৪ চা চামচ, কামরাঙা মরিচ ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ। 
প্রস্তুত প্রণালি: ডাল ধুয়ে হলুদ-লবণ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। ডাল ভালো করে গলে গেলে এতে লম্বা করে কাটা আম ও পাটশাক দিতে হবে। আম ও শাক সেদ্ধ হয়ে গেলে তেল গরম করে পেঁয়াজ-রসুনের বাগাড় দিতে হবে। এবার বোম্বাই মরিচ কেটে ১টি বলক উঠলে নামিয়ে ফেলতে হবে। তীব্র গরমে কাঁচা আম, পাটশাক দিয়ে রান্না করা এ ডাল-ভাতের সঙ্গে খেতে অনেক মজা।

শজিনা ডাঁটায় কাঁচা আম
উপকরণ: শজিনা ডাঁটা ৪-৫টি, মাঝারি সাইজের আলু ২টি, কাঁচা আম লম্বা করে কাটা ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ৩-৪টি, কালিজিরা ১-৩ চা চামচ, জিরা ১-৩ চা চামচ, শুকনা মরিচ ২-৩টি, হলুদ-মরিচ গুঁড়া সামান্য, সরিষার তেল ২-৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনিয়া পাতা কুচি সামান্য, চিনি সামান্য। 
প্রস্তুত প্রণালি: শজিনা ডাঁটা লম্বা লম্বা করে কেটে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে আলু ও শজিনা ডাঁটা ভেজে নিতে হবে। ওই তেলে জিরা, কালিজিরা ও  মরিচের ফোড়ন দিতে হবে। এবার সরিষা, পোস্ত বাটা, হলুদ-মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। মসলার কাঁচা গন্ধ দূর হলে ভেজে রাখা আলু, শজিনা ডাঁটা ও আম দিয়ে কষাতে হবে। এবার দেড় কাপ গরম পানি দিয়ে সব সবজি সেদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে ঝোল মাখামাখা হলে চিনি-ধনিয়া পাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। ইচ্ছে হলে সামান্য ঘি ওপরে ছড়িয়ে পরিবেশন করা যায়।

কাঁচা আম দিয়ে রুই মাছের ঝোল  
উপকরণ: রুই মাছ ৪ পিস, কাঁচা আম ঝুরি করে কাটা ২-৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ১-৩ কাপ, সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ, কালিজিরা ১-২ চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ৩-৪ টি, হলুদ গুঁড়া ১-২ চা চামচ, শুকনো মরিচ বাটা ১ চা চামচ, সরিষার তেল ২-৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১-৫ চা চামচ। 
প্রস্তুত প্রণালি: মাছ ভালোমতো ধুয়ে সামান্য লবণ-হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে সরিষার তেল গরম করতে হবে। তেল গরম হলে কালিজিরার ফোঁড়ন দিতে হবে। এবার পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভাজতে হবে। একে একে সরিষা বাটা, কাঁচামরিচ বাটা, হলুদ-মরিচ গুঁড়া, স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালোমতো কষাতে হবে। মসলার কাঁচা গন্ধ দূর হলে কেটে রাখা আম দিয়ে আবারও কষাতে হবে। এবার লবণ-হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা মাছ দিয়ে খুব সাবধানে কষাতে হবে। ১ কাপ গরম পানি ও চিনি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে সুস্বাদু এ আম দিয়ে রুই মাছের ঝোল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ য় হল দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ সন্দেহে তরুণ গ্রেপ্তার, বোমা তৈরির উপকরণ জব্দ

শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার বিশাকুড়ি এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশ এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে ওই তরুণের বাসা থেকে বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় আফতাব উদ্দিন ওরফে আবির (১৯) নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার তিনি শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশ জানায়, আফতাব উদ্দিনের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা রয়েছে ও নাশকতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়ির সামনের সড়ক থেকে আটক করা হয়। এরপর ঢাকা থেকে রাতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল ডামুড্যায় আসে। তারা আফতাব উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ওই বাড়ি থেকে বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

পরের দিন রোববার ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আফতাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। আদালতের বিচারকের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাঁকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই তরুণ অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত থেকে জঙ্গিবাদে স্বেচ্ছায় উদ্বুদ্ধ (সেলফ মোটিভেটেড) হওয়ার কথা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সে কিছু একটা করবে, এমন চেষ্টা করছিল। তার আগেই আমরা তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তবে আইএসের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে তার দিকে (আইএস) সে উদ্বুদ্ধ হয়েছে, এমন বলেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

ডামুড্যা থানা সূত্র জানায়, ডামুড্যা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিশাকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন। তিনি ডামুড্যা উপজেলা সদরের পূর্ব ডামুড্যা সরকারি কলেজ থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তাঁর বাবা আবদুল মালেক হাওলাদার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে আফতাব উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আফতাব উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তাঁর বাড়ি তল্লাশি করলে বোমা তৈরির উপকরণ পাওয়া যায়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন, তা তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে বলা যাবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ সন্দেহে তরুণ গ্রেপ্তার, বোমা তৈরির উপকরণ জব্দ