নান্দাইল থানায় হাজতিদের বই পড়ে জীবন আলোকিত করার উদ্দেশ্যে ‘বই কর্নার’ চালু করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিজ প্রচেষ্টায় কর্নারটি চালু করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার।
ইউএনও সারমিনা সাত্তার জানান, হাজতিরা স্বল্প সময় থানা হাজতে অবস্থান করেন। সেসময় তারা নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এ সময়টুকুতে বই পড়ে যাতে তারা সুচিন্তা করতে পারেন মূলত সে উদ্দেশ্য নিয়েই বই কর্নারটি চালুর উদ্যোগ নেন তিনি। একমাত্র বই-ই পারে মানুষের জীবনকে আলোকিত করতে। অনেক সময় বইয়ের একটি ভালো বাক্যই কারোর জীবন বদলে দিতে পারে। কর্নারে ধর্মীয় গ্রন্থসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষণীয় বইও রাখা হয়েছে। তখন নান্দাইলের বই পড়া আন্দোলন নামে একটি সংগঠন কর্নারে পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের বই দেওয়ার অঙ্গীকার করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, থানার ওসি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, জীবনমান উন্নয়নে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের উদ্যোগ থানাগুলোতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।