গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-টঙ্গী-ভৈরব রেললাইনের আড়িখোলা রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের পূর্বপাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ। 

নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, নিহত যুবকের বয়স ৩২ থেকে ৩৫ বছর। তার পরনে সাদা ও নীল রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি এবং কালো জিন্স প্যান্ট ছিল।

তিনি আরো জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শেরপুরে ধানক্ষেত থেকে অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

কবরের ওপর পড়ে ছিল গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা মরদেহ

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে। পরিচয় শনাক্ত হলে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে পরিচয় না পাওয়া গেলে, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন এসআই জহিরুল ইসলাম। 

ঢাকা/রফিক/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ন হত উদ ধ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ

নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুজন হলেন রাবেয়া বসরী (২৩) ও তাঁর চার বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম। উদ্ধারের পর লাশ দুটি সুধারাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাবেয়া বসরীর স্বামী আবদুর রহমান ওরফে রুবেল (৩৮) পেশায় কসাই। রাবেয়া তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাবেয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম নিহত রাবেয়ার স্বামী আবদুর রহমানের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে আবদুর রহমান তাঁর ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ও স্ত্রী রাবেয়া বসরীর লাশ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। তিনি চিৎকার দিলে পাশের ঘর থেকে তাঁর ভাইসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে তিনিও (ইউপি) ওই বাড়িতে যান।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মা ও মেয়ের লাশ পৃথক দুটি রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। স্বামীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দেড়টার দিকে ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের কাপড়চোপড় এলোমেলো, কক্ষের ভেতর তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। তখন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।

এসআই লন্ডন চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্বামী আবদুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মা-মেয়ের মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ৩ বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২
  • গোপালগঞ্জে ৬ যানবাহনের সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২
  • রেললাইনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন মুঠোফোনে, ট্রেনে কাটা পড়ে চা–শ্রমিকের মৃত্যু
  • গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
  • নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ