সাতক্ষীরায় ট্রাকভর্তি প্রায় ৪ মেট্রিক টন অপরিপক্ক আম জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ আমগুলো জব্দ করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো ১০ ক্যারেট অপরিপক্ক গোবিন্দভোগ আম গাড়ির চাকায় ফেলে বিনষ্ট করা হয়।

বাকি ১৬০ ক্যারেট আম যাতে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো নেই, সেগুলো রাতেই ৪৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। তবে এ সময় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) শামিনুল হক, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম  ও পুলিশের একটি টিম।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক ও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো অপরিপক্ক আম ট্রাক ভর্তি করে রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে— এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের একটি টিম শহরের বাইপাস এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ট্রাকভর্তি প্লাস্টিকের ১৭০টি ক্যারেটে থাকা প্রায় ৪ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ ও হিমসাগর আম জব্দ করা হয়। 

তারা আরো জানান, সাতক্ষীরার আমের দেশব্যাপী সুনাম রয়েছে। কিন্তু অসাধু চক্র রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে অপরিপক্ক আম পাকিয়ে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। জেলার আমের সুনাম রক্ষায় এবং ভেজাল খাদ্য বাজারে বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন নির্ধারিত ক্যালেন্ডারের তারিখের আগে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত না করার জন্য বলা হয়েছে। তবে আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর থ ন ত কর র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ