গুচ্ছভুক্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ১২ হাজার ৫২২ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে আসন্ন পরীক্ষা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইল।

তিনি বলেন, “নোবিপ্রবি কেন্দ্রে আগামী ২৫ এপ্রিল ‘সি’ ইউনিটে ১ হাজার ৭০৫ জন, ২ মে ‘বি’ ইউনিটে ২ হাজার ১৪৫ জন এবং ৯ মে ‘এ’ ইউনিটে ৮ হাজার ৬৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। নোবিপ্রবি ছাড়াও নোয়াখালীর চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষ অনুষ্ঠিত হবে। শুধু ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নোবিপ্রবিতে হবে।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী

নোবিপ্রবিতে ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে পূবালী ব্যাংকের ক্যাম্পেইন

তিনি আরো বলেন, “এ ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে আমাদের সামগ্রিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে জোর দিয়েছি। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যেন যানবাহন অপ্রতুলতার বেগ পোহাতে না হয়, সেজন্য নোবিপ্রবির পরিবহন পুলের বাসগুলো তাদের জন্য ওইদিন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যাতে তারা বিনা খরচে যাতায়াত করতে পারে।”

উপাচার্য বলেন, “চৌমুহনী ও সোনাপুর মোড়ে যেন যানজট না লাগে, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রতিরোধ এবং ভর্তিচ্ছুদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে হোটেলগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পারে, সে বিষয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”

উপাচার্য আরো বলেন, “নোয়াখালীতে বিদ্যামান বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংগুলো বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এছাড়াও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা প্রদানে যাবতীয় আগাম প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানানো হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের অভিভাবকদের বসার জন্য নোবিপ্রবি অডিটোরিয়াম এবং তারা কাছাকাছি জায়গায় প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

“পরীক্ষার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভেতরে এবং নোয়াখালী শহরের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকবে। ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের আকস্মিক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার ছাড়াও ভিজিল্যান্স টিম ও অ্যাম্বুলেন্স টিমের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সামগ্রিক নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন স্পটে দায়িত্বরত থাকবে। পাশাপাশি নোবিপ্রবি বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সহায়ক টিম হিসেবে কাজ করবে,” যুক্ত করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, পরীক্ষা চালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসিন, প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান, আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাইয়ুম মাসুদ প্রমুখ।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ ন ব প রব উপ চ র য ম হ ম মদ ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ