যে সিনেমা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সমাজের অসংগতি
Published: 24th, April 2025 GMT
‘কোর্ট-স্টেট ভার্সেস আ নোবডি’—নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে কোর্ট-কাচারির চক্কর। তবে এখানে গল্পটা একটু ভিন্ন। যেখানে একজন ‘কেউ না’র বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে একটি পুরো রাজ্য। কিন্তু কী তার অপরাধ, যার জন্য পুরো রাজ্য তার বিপক্ষে?
এমন একটি কোর্টরুমের গল্পকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রথম সিনেমা বানিয়েছেন নির্মাতা রাম জাগদীশ। তবে কেউ বলে না দিলে এটা বোঝার কোনো উপায় নেই যে এটি তাঁর প্রথম সিনেমা। মাত্র আট কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা মুক্তির মাত্র দুই দিনেই তুলে নিয়েছে লগ্নির সব টাকা। আর দেশ-বিদেশে এখন পর্যন্ত ব্যবসা করে কামিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি রুপির বেশি।
সিনেমা: ‘কোর্ট-স্টেট ভার্সেস আ নোবডি’
ধরন: কোর্টরুম ড্রামা
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
পরিচালক: রাম জাগদীশ
রানটাইম: ১৪৯ মিনিট
অভিনয়ে: প্রিয়দর্শী পুলিকোন্ডা, হর্ষ রোশন, শ্রীদেবী, শিবাজী।
উঠতি নির্মাতাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দক্ষিণি নানির সুনাম রয়েছে। নানির প্রোডাকশন হাউস ‘ওয়াল পোস্টার সিনেমা’র ব্যানারে অনেক উঠতি নির্মাতাদের প্রথম সিনেমা জায়গা করে নিয়েছে। নির্মাতা রাম জাগদীশের এই সিনেমা কেন নানি নিজ থেকেই প্রচার করেছেন, তা এটি দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনি।
কোর্টরুমের ভেতরের ড্রামা অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু সেই ড্রামাকে কেন্দ্র করে এ রকম জমাট গল্পের বুনন খুব কমই চোখে পড়ে। ‘কোর্ট-স্টেট ভার্সেস আ নোবডি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১৪ মার্চ। তবে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ১১ এপ্রিল। মুক্তির ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও নেটফ্লিক্সের টপ চার্টের একদম প্রথম সারিতে রয়েছে সিনেমাটি। কী আছে এই সিনেমায়, যার গল্পে মজে আছেন সবাই?
‘কোর্ট-স্টেট ভার্সেস আ নোবডি’ সিনেমার পোস্টার থেকে। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম স
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই
ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি