টাকা চে‌য়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দি‌য়ে‌ছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্প‌তিবার (২৪ এপ্রিল) সকা‌লে গাজীপুর থেকে জনৈক হাছান সরকারের ছেলে পরিচয়ে সন্ত্রাসী আরমান আলী স‌চিবের কা‌ছে টাকা দা‌বি ক‌রে, না দি‌লে স‌চি‌বের ছে‌লে‌কে অপহর‌ণের হুম‌কি দেয়।

এ ঘটনায় হুম‌কিদাতা সন্ত্রাসী আরমান আলীর বিরু‌দ্ধে স‌চিব শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সচিবের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) মো.

নাজিমুল হায়দার এ ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছেন।

শাহবাগ থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, ‘২৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় ০১৭৮৪৯১৬৫০৪ নম্বর থেকে গাজীপুরের জনৈক হাছান সরকারের ছেলে পরিচয়ে জাহেদা পারভীনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করে একজনকে ফোন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন শীর্ষ সন্ত্রাসী আরমান আলী পরিচয়ে তিনি জাহেদার কাছে টাকা দাবি করে এবং হুমকি দিয়ে বলে, অন্যের ছেলেকে সাহায্য করলে নিজের ছেলে বাঁচবে, না হয় আপনার ছেলেকে অপহরণ করা হবে।’

‘‘ফোনে প্রাপ্ত হুমকির বিষয়টি অত্যন্ত ভীতিকর ও উদ্বেগজনক, এজন্য জরুরি ভিত্তিতে তা জেনারেল ডায়েরিভুক্ত করা প্রয়োজন।”

বিষয়টি থানার জেনারেল ডায়েরিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান স‌চিব।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ