চট্টগ্রামে কারাবন্দি স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর মৃত্যু
Published: 26th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফরজাদ হোসেন সজিব নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সজিব কারাগারে যমুনা ভবনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন। তবে সজিবের স্বজনরা কারাগারে মারামারিতে আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, কারাগারে হঠাৎ বুকে ব্যথার কথা জানালে দ্রুত আসামি ফরজাদ হোসেনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরু বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, কারাগারে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তিনি যে ওয়ার্ডে থাকতেন সেখানে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেও মারামারি করার কোনো সত্যতা পাইনি। পরিবারের সদস্যরা মারামারিতে আহত হয়ে মৃত্যুর দাবি অমুলক। আসামি ফরজাদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
মৃত সজিবের স্ত্রীর বড় ভাই মো.
কারা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার ডাকাতি চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২৭ মার্চ আদালত আসামি ফরহাদকে কারাগারে পাঠায়। তারপর থেকে তিনি কারাগারের কারাগারে যমুনা ভবনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।