শ্বশুর ঘুম থেকে জেগে দেখলেন, একই দড়িতে ঝুলছে পুত্রবধূ ও নাতির মরদেহ
Published: 26th, April 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নদীয়াবাদ গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- গৃহবধূ রাবেয়া বেগম (২৬) ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ (৩)। রাবেয়া বেগম নদীয়াবাদ গ্রামের প্রবাসী আবদুল মতিনের স্ত্রী এবং উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ বলছে, ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী, তাদের দাম্পত্য জীবনে কোনো কলহ ছিল না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রবাসী আবদুল মতিন পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাবেয়া বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সাংসারিক জীবনে তিন বছর বয়সী আবদুল্লাহ একমাত্র সন্তান। প্রবাস থেকে আবদুল মতিন ছুটিতে বাড়িতে এসে গত এক বছর আগে আবারও প্রবাসে চলে যান।
আজ সকালে নামাজ পড়তে উঠে রাবেয়া বেগমের শ্বশুর আলী আকবর একই রশিতে পুত্রবধূ ও নাতির লাশ ঝুলতে দেখেন। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, লাশ দুটিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তারা ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন, নাকি অন্য কিছু-সেটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন তদন ত র প রব স আবদ ল উপজ ল মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ