জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলটির নেতারা একাধিকবার জানিয়েছেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন মেনে নেবেন না তাঁরা। সংস্কারের পক্ষে দলটি শিগগিরই ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম।

আজ শনিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এক সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অচিরেই মার্চ ফর ঢাকা ঘোষণা দেব। লাখ লাখ, কোটি কোটি মানুষ ঢাকায় জমায়েত করব। (আমরা জানতে চাই) কারা সংস্কারের পক্ষে আর কারা বিপক্ষে। জনগণই নির্ধারণ করবে আগে সংস্কার হবে নাকি নির্বাচন হবে।’

ভারতের ওয়াক্‌ফ আইনের প্রতিবাদ এবং নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। কেবলই নির্বাচন, নির্বাচন। আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে। সংস্কারের বাইরে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন মানবে না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট হিসেবে আমরা স্থানীয় নির্বাচন চাই। স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারলে বুঝব জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। নাহলে বুঝতে হবে, নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।’

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ‘শুধু কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং কমিশন বাতিল করলেই হবে না; বরং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’ ভারতে ওয়াক্‌ফ আইন পরিবর্তন করে সে দেশে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।

গণমিছিল–পূর্ববর্তী এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিনষ্ট করা বাবুই পাখির বাসা প্রতিস্থাপন 

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিনষ্ট করা ৩০টি বাবুই পাখির বাসা এবং ২০টি বাবুই পাখির ডিম প্রতিস্থাপন করেছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকালে উপজেলার উত্তর আমখোলা গ্রামের তাল গাছে এ সব বাসা প্রতিস্থাপন করা হয়। 

বুধবার (৩০ জুলাই) ওই গ্রামের কৃষক সিদ্দিক মোল্লা এ সব বাসা বিনষ্ট করেন। বাসা প্রতিস্থাপনের সময় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ বন সংরক্ষক সফিকুল ইসলাম ও এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সাপ ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার কর্মী আসাদুল্লাহ হাসান মুসা উপস্থিত ছিলেন। 

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা বলেন, ‘‘কৃষক সিদ্দিক মোল্লার ধানক্ষেতের পাশের তালগাছে বাবুই পাখি এসব বাসা বুনন করেছিল। কৃষক সিদ্দিক মোল্লা এ সব বাসা বিনষ্ট করেন। আমরা খবর শোনামাত্র বিষয়টি বন বিভাগকে অবহিত করি। পরে আজ বাসাগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।’’ 

আরো পড়ুন:

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যায় ২ মামলা

পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ বন সংরক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাসাগুলো ওই কৃষকের ধানক্ষেত সংলগ্ন তালগাছে বুননের কারণে তিনি বিনষ্ট করেছেন। তার পরিবার হতদরিদ্র। তিনি আর বাবুই পাখির বাসা বিনষ্ট করবেন না মর্মে মুচলেখা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাসাগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।’’ 

গত মাসে ঝালকাঠিতে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার ঘটনা নিয়ে সমলোচনা হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ