ববিতা যখন জানলেন জাফর ইকবালের শরীরে ক্যানসার
Published: 27th, April 2025 GMT
কাজ করতে গিয়ে জাফর ইকবালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ববিতা। সুদর্শন, স্মার্ট ও স্টাইলিশ নায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এ নায়কের সঙ্গে প্রেমের কথা অকপটে স্বীকারও করেছেন বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি মারা যান জাফর ইকবাল। গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে ববিতার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যান তিনি। পরবর্তী সময়ে অগোছালো, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনসহ নানা কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হন এই নায়ক। শেষ সময়ে ববিতাও জানতে পেরেছিলেন জাফর ইকবালের ক্যানসারের খবর।
আরও পড়ুনমেসেঞ্জারে আলাপটা ভালোই জমে উঠেছিল...বিব্রত ববিতা২৩ এপ্রিল ২০২৫
জাফর ইকবালের শেষ সময়ের দিনগুলো নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় ববিতার। জানান, শেষদিকে শুটিংয়ে অমনোযোগী হয়ে উঠেছিলেন জাফর ইকবাল। শুটিংয়ে দেরি করে আসা থেকে ঠিকমতো সময় দিতেন না তিনি। তাই ওই সময়ের অনেক প্রযোজক তাঁকে সিনেমায় নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইতেন না। প্রযোজকদের বুঝিয়ে বাদল খন্দকারের একটি ছবিতে জাফর ইকবালের দায়িত্ব নেন ববিতা। সেবারই শেষবারের মতো দুজন একসঙ্গে শুটিং করেন।
শুটিং সেটেই অনেক দিন পর তাঁদের দেখা হয়। দুদিন শুটিং হয়েছিল সিনেমাটির। শুটিংয়ের একটি দৃশ্য ছিল এ রকম, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন জাফর ইকবাল আর ববিতা চিকিৎসক। সেদিন সত্যি সত্যিই শরীরে ক্যানসার নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অভিনয় করেছিলেন জাফর ইকবাল। কাউকে কিছু জানাননি তিনি। তবে সেদিন ববিতার চোখে জাফর ইকবালকে দেখাচ্ছিল বেশি উদাসীন, অগোছালো। মনে হচ্ছিল, অসুস্থ। জিজ্ঞেসও করেছিলেন, ‘আপনাকে এমন কেন দেখাচ্ছে? অসুস্থ নাকি?’ তবে উত্তরে জাফর ইকবাল কী জানিয়েছিলেন, তা বলেননি তিনি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।