আত্মহত্যা করলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা জিওফ্রি
Published: 27th, April 2025 GMT
কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলা ভার্জিনিয়া জিওফ্রি আত্মহত্যা করেছেন। মাত্র ৪১ বছর বয়সে তিনি আত্মঘাতী হন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
জিওফ্রি ছিলেন এপস্টেইন ও তার সহযোগী ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের শিকার নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠ। তিনি দাবি করেছিলেন, ১৭ বছর বয়সে তাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে পাচার করা হয়েছিল। তবে এ অভিযোগ যুবরাজ বারবার অস্বীকার করেছেন।
জিওফ্রির পরিবার এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, গত শুক্রবার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান জিওফ্রি, যেখানে গত কয়েক বছর ধরে তিনি থাকতেন। যৌন নিপীড়ন ও পাচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন অকুতোভয় যোদ্ধা। জিওফ্রি সেই আলো, যিনি অসংখ্য নির্যাতিতের প্রেরণা ছিলেন। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, পার্থের এক গ্রামীণ এলাকায় এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। জিওফ্রি গত মাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। যদিও পুলিশ তা গুরুতর বলে স্বীকার করেনি।
২০১৯ সালে প্রকাশিত আদালতের নথি অনুযায়ী, ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে স্পা অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করার সময় তিনি ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে পরিচিত হন। এর পর এপস্টেইনের বিভিন্ন বাড়িতে তার সঙ্গে সময় কাটান। এমনকি প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গেও তার দেখা হয় বলে দাবি করেন। ২০০১ সালে তোলা একটি বিতর্কিত ছবিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে তার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’
এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।