পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের সময় ৫৪ জনকে হত্যা
Published: 27th, April 2025 GMT
খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৫৪ জন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে। রবিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত অনুপ্রেবেশকারীদের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
২০২২ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। এরপর গত এক বছরে পাকিস্তানে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোওয়া এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
"২৫/২৬ এবং ২৬/২৭ এপ্রিল ২০২৫ সালের রাতে, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী খারিজদের একটি বৃহৎ দলের [গতি] নিরাপত্তা বাহিনী উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার হাসান খেল এলাকায় [সাধারণ] অভিযান চালায়।
আইএসপিআর বিবৃতিতে বলেছে, “(আমাদের) নিজস্ব সেনারা কার্যকরভাবে তাদের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। সুনির্দিষ্ট ও দক্ষ অভিযানের ফলে ৫৪জন খারিজকে (অনুপ্রবেশকারী) নরকে পাঠানো হয়েছে।”
আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত খারিজদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে খারিজদের এই দলটি তাদের বিদেশী প্রভুদের'নির্দেশে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বড় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য বিশেষভাবে অনুপ্রবেশ করছিল।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল খাতে বাজেটের প্রভাব কেমন
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, বাজেট গতানুগতিক। দেশের ইন্টারনেট খাতের জন্য বিশেষ কিছু নেই। মাঝারি ও ছোট আইএসপিদের জন্য বাজেটে তেমন কোনো সুখবর নেই। আগে যা ছিল, এখনও তা-ই আছে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী যারা আছেন, তারা শতভাগ দেশি উদ্যোক্তা। তবে করপোরেট গ্রাহকের জন্য ইন্টারনেট সেবা দেয়, তারা
কিছুটা সুবিচার পেতে পারেন।
কারণ, সব ধরনের করপোরেট প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) কেটে রেখে বিল পরিশোধ করে। এআইটি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় স্বল্প সংখ্যক আইএসপি কিছুটা সুবিচার পেতে পারে। সরকার ইন্টারনেটের দাম কমাতে চায়। কিন্তু ভ্যাট, ট্যাক্সে হাত দেবে না; ইকুইপমেন্টের মধ্যেও হাত দেবে না। ফলে কোনো লাভ হবে না। ভ্যাট, ট্যাক্সে হাত না দিলে ইন্টারনেটের দাম কমবে না।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, আমি মনে করি, ভোক্তা পর্যায়ে স্মার্টফোন খাতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। উৎপাদন পর্যায়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতার লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে সেটিও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রায় ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে এবং ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে এত বেশি ব্যয় হয় না। ধারণা করছি, ব্যবসায়িক পর্যায়েও এর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ওভার দ্য টপ প্ল্যাটফর্ম (ওটিটি) পরিষেবায় আরোপ করা হয়েছে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। এতে চরকি, নেটফ্লিক, বঙ্গ ছাড়াও কয়েকটি ওটিটিতে সিনেমা ও সিরিজ ছাড়াও ভালো মানের কনটেন্ট দেখতে দর্শকের ব্যয় বাড়বে। বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন, ওটিটি পরিষেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দূরদৃষ্টিহীন সিদ্ধান্ত। দেশের উদীয়মান ডিজিটাল অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী শিল্পের বিকাশ ব্যাহত করবে। সিদ্ধান্তটি একদিকে যেমন দর্শকের ব্যয় বাড়াবে, অন্যদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বড় ধরনের বাধা হবে। সরকারের উচিত, দ্রুত সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করা।