খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৫৪ জন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে। রবিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযানে  নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত অনুপ্রেবেশকারীদের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।

২০২২ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। এরপর গত এক বছরে পাকিস্তানে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোওয়া এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

"২৫/২৬ এবং ২৬/২৭ এপ্রিল ২০২৫ সালের রাতে, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী খারিজদের একটি বৃহৎ দলের [গতি] নিরাপত্তা বাহিনী উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার হাসান খেল এলাকায় [সাধারণ] অভিযান চালায়।

আইএসপিআর বিবৃতিতে বলেছে, “(আমাদের) নিজস্ব সেনারা কার্যকরভাবে তাদের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। সুনির্দিষ্ট ও দক্ষ অভিযানের ফলে ৫৪জন খারিজকে (অনুপ্রবেশকারী) নরকে পাঠানো হয়েছে।”

আইএসপিআর জানিয়েছে,  নিহত খারিজদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে খারিজদের এই দলটি তাদের বিদেশী প্রভুদের'নির্দেশে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বড় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য বিশেষভাবে অনুপ্রবেশ করছিল।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন প র

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান

রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে চালানো এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনো চলছে। 

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বহু ধারার উল্লেখ ছিল—এর কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, আর বাকিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের অভিযোগ, চুক্তির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

এই চুক্তির বিরোধিতা করেই ১৯৯৮ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি মূলত চুক্তিবিরোধী অবস্থান নিয়ে পাহাড়ি তরুণদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে।

এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দুই সংগঠনের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী নিহত হন, আর সশস্ত্র সহিংসতায় পাহাড়জুড়ে বিরাজ করে আতঙ্ক।

২০১০ সালে জেএসএসের মূল ধারা (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) থেকে একটি অংশ বেরিয়ে এসে জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন একটি সংগঠন গঠন করে।

পরে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন মূল সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আত্মপ্রকাশ করে। 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
  • রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার: আইএসপিআর
  • রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান, একে৪৭সহ অস্ত্র–গোলাবারুদ উদ্ধার: আইএসপিআর
  • রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান