সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বই বের করে পুড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এসব বই বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট। শিক্ষার্থীরা এসব বইকে ‘স্বৈরাচারপন্থি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ঘটনার ওই গ্রন্থাগারের ভেতরে সংবাদকর্মীদের ঢুকতে দেননি দায়িত্বরত ব্যক্তিরা।
সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে কয়েকজন ওই গ্রন্থাগারের ভেতরে যান। তারা অভিযোগ করেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট বই রয়েছে। ওই শিক্ষার্থীরা শতাধিক বই বের করে গ্রন্থাগারের সামনের সড়কে জড়ো করেন। পরে এতে আগুন ধরিয়ে দেন।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা গ্রন্থাগারের সামনে গেলে ওই শিক্ষার্থীদের চলে যেতে দেখা যায়। তাদের দু’জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট কোনো বই ছিল না। রোববার দুপুরে পড়তে এসে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে ‘বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগপন্থি’ শত শত বই দেখতে পান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এসব বই গ্রন্থাগারের সামনে এনে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীরা এসব বইকে ‘স্বৈরাচারপন্থি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এসব বই গ্রন্থাগারে রাখা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। স্বৈরাচারের দোসররা আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠা করতে পরিকল্পিতভাবেই এ কাজ করেছে। গ্রন্থাগারে এমন যত বই আছে, তা অপসারণে উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হবে।
এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে গ্রন্থাগারে দায়িত্বে থাকা পিয়ন আব্দুল মজিদ সংবাদকর্মীদের ভেতরে না ঢোকার জন্য অনুরোধ করেন। তিনিই জানিয়ে দেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ বই পোড়ানোর বিষয়ে বক্তব্য দেবেন না।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড.

সুমন কান্তি বড়ুয়া মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, গত সরকারের আমলের কিছু বই ছিল, যেগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আপত্তি তুলেছেন। আবেগের বশে তাদের কেউ কিছু বই পুড়িয়ে দিয়েছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই ও আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি

চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।

গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ