কক্সবাজারের টেকনাফে ফসলি জমি থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ হওয়া কৃষক মো. ফরিদ উল্লাহ (৪৩) মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের কোনারপাড়া এলাকায় তাঁকে ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অভিযানের মুখে অপহরণকারীরা ফরিদ উল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছেন। ফরিদকে ছেড়ে দিয়ে পালানোর সময় অস্ত্র, গুলিসহ এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো.

রিদুয়ান (২০)। তিনি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী এলাকার আবদুস সালামের ছেলে। গত শনিবার রাতে মো. ফরিদ উল্লাহকে অপহরণ করা হয়। তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীখালী এলাকার মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন এলাকায় ফসলি খেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ফরিদ উল্লাহ। এ সময় তাঁকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পাশের পাহাড়ে নিয়ে যান অপহরণকারীরা। রাতে ঘটনাটি ফরিদের পরিবার থেকে পুলিশকে অবহিত করা হয়। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযানে যায়। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ফরিদকে ছেড়ে দিয়ে পালাচ্ছিলেন অপহরণকারীরা। এ সময় ধাওয়া দিয়ে একটি বন্দুক, চারটি গুলিসহ মো. রিদুয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, রিদুয়ান চিহ্নিত মাদক কারবারি। এর পাশাপাশি অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অপহরণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ফরিদের স্ত্রী বাদী হয়ে রিদুয়ানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। রিদুয়ানকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধার হওয়া ফরিদ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অপহরণক র র

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • সুবিচার মিলবে কত বছরে
  • বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার