৮০ শতাংশ সমস্যার সমাধান হবে, যদি আপনি এই ৮ কাজ করেন
Published: 28th, April 2025 GMT
১. সঠিক মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিন। আপনার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি ও আপনার জীবনসঙ্গী যেন আপনাদের সন্তানের জীবনে আদর্শ মানুষ হয়ে ওঠেন। ভুল মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করা জীবনের সব সমস্যার মধ্যে অন্যতম। কেবল এই একটি ভুল থেকেই ছোট-বড় অসংখ্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। ফাস্ট ফুড, চিনি, কার্বনেটেড ড্রিংক যত কম খাবেন, ততই ভালো। পর্যাপ্ত পানি খান। ৭–৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম ঘুমান।
৩.
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট বা আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করা জরুরি। প্রতিদিন ২৫–৩০ মিনিট দ্রুতগতিতে হাঁটলেও পাবেন অভাবনীয় উপকার।
৪. আপনার যা সামর্থ্য, তারচেয়ে কম মানের জীবনযাপন করুন। এর মানে হলো, কর্মজীবনের শুরু থেকেই একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক সঞ্চয় গড়ে তোলা। আয়ের অন্তত এক–তৃতীয়াংশ জমানো ও পরবর্তী সময়ে জমানো অর্থ বিনিয়োগ করুন। দ্বিতীয় একটা উপার্জনের উৎস রাখুন। জমানো অর্থ দিয়ে এমন সম্পদ কিনুন, যা থেকে অর্থ আসে।
৫. অন্তত ২–৩ জন বিশ্বস্ত, ভালো বন্ধু তৈরি করুন। কঠিন সময় সহজে কাটিয়ে উঠতে, ভালো স্মৃতি তৈরি করতে ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বন্ধুর বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনএই কারণে যে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, আপনি হয়তো কখনো ভাবেনইনি২৩ জানুয়ারি ২০২৫৬. পেশাজীবনে এমন কাজ করুন, যেটি আপনার এমনিতেই ভালো লাগে। কথায় বলে, আপনি যখন শখটাকে পেশা বানিয়ে নেন, তখন আপনার অর্থ উপার্জনের জন্য আলাদা করে কাজ করার প্রয়োজন নেই।
৭. ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা রক্ষা করুন। নীরবে এগিয়ে যান। মনে রাখবেন, যে যেটা জানে না, সে সেটার ক্ষতিও করতে পারবে না।
৮. তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। ১ মিনিট সময় নিন। ১ মিনিট পর ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে দেখা যাবে, আপনি নিজেকে সামলে নিয়েছেন। ‘হিট অব দ্য মোমেন্ট’ বা রাগের মাথায় কিছুই বলবেন না। মনে রাখবেন, বোবার শত্রু নেই।
সূত্র: লিংকডইন
আরও পড়ুনচারটি প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে ধরে নেবেন আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত১২ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত