১. সঠিক মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিন। আপনার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি ও আপনার জীবনসঙ্গী যেন আপনাদের সন্তানের জীবনে আদর্শ মানুষ হয়ে ওঠেন। ভুল মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করা জীবনের সব সমস্যার মধ্যে অন্যতম। কেবল এই একটি ভুল থেকেই ছোট-বড় অসংখ্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। ফাস্ট ফুড, চিনি, কার্বনেটেড ড্রিংক যত কম খাবেন, ততই ভালো। পর্যাপ্ত পানি খান। ৭–৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম ঘুমান।

৩.

নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট বা আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করা জরুরি। প্রতিদিন ২৫–৩০ মিনিট দ্রুতগতিতে হাঁটলেও পাবেন অভাবনীয় উপকার।

আরও পড়ুনটক্সিক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কঠিন কেন?২১ নভেম্বর ২০২৪

৪. আপনার যা সামর্থ্য, তারচেয়ে কম মানের জীবনযাপন করুন। এর মানে হলো, কর্মজীবনের শুরু থেকেই একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক সঞ্চয় গড়ে তোলা। আয়ের অন্তত এক–তৃতীয়াংশ জমানো ও পরবর্তী সময়ে জমানো অর্থ বিনিয়োগ করুন। দ্বিতীয় একটা উপার্জনের উৎস রাখুন। জমানো অর্থ দিয়ে এমন সম্পদ কিনুন, যা থেকে অর্থ আসে।

৫. অন্তত ২–৩ জন বিশ্বস্ত, ভালো বন্ধু তৈরি করুন। কঠিন সময় সহজে কাটিয়ে উঠতে, ভালো স্মৃতি তৈরি করতে ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বন্ধুর বিকল্প নেই।

আরও পড়ুনএই কারণে যে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, আপনি হয়তো কখনো ভাবেনইনি২৩ জানুয়ারি ২০২৫

৬. পেশাজীবনে এমন কাজ করুন, যেটি আপনার এমনিতেই ভালো লাগে। কথায় বলে, আপনি যখন শখটাকে পেশা বানিয়ে নেন, তখন আপনার অর্থ উপার্জনের জন্য আলাদা করে কাজ করার প্রয়োজন নেই।

৭. ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা রক্ষা করুন। নীরবে এগিয়ে যান। মনে রাখবেন, যে যেটা জানে না, সে সেটার ক্ষতিও করতে পারবে না।

৮. তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। ১ মিনিট সময় নিন। ১ মিনিট পর ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে দেখা যাবে, আপনি নিজেকে সামলে নিয়েছেন। ‘হিট অব দ্য মোমেন্ট’ বা রাগের মাথায় কিছুই বলবেন না। মনে রাখবেন, বোবার শত্রু নেই।

সূত্র: লিংকডইন

আরও পড়ুনচারটি প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে ধরে নেবেন আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত১২ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র জ বন আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ