রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
Published: 29th, April 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর ৯ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কানাইপুর শান্তিনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুরুতর আহতরা হলেন- বাহার মিয়ার ছেলে রুহুল আমীন (২৪), তার স্ত্রী জাহান্নাতুল বেগম (২১), জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী তাহমিনা বেগম (২০), লালা মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া (৩২), মন্নাফ মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়া (৪৫), রুশন মিয়ার ছেলে সিতন মিয়া (৩৩), বারিক মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া (৩০), শাহান উল্লার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫), শাহান উল্লার ছেলে উমর আলীকে (৬০)। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
ঈশ্বরদীতে চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৪
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তিনগর এলাকার বাহার মিয়ার ছেলে রুহুল আমীন আজ সকালে একই গ্রামের রুশন মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়ার কাছে বাকি থাকা ৫০ টাকা রিকশা ভাড়া চান। আলমগীর ভাড়া না দিয়ে রুহুল আমীনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে দুইজনের পরিবার ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষ চলাকালে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পরে নবীগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মো.
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’
গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই