জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর লাশ উদ্ধার, সহপাঠীদের ধারণা আত্মহত্যা
Published: 30th, April 2025 GMT
প্রত্যাশা মজুমদার নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে সহপাঠীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের একটি মেস থেকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় প্রত্যাশাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সহপাঠীরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংগীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন। ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন বুঝতে পারছি না। ধারণা করছি, প্রেমঘটিত কারণে এমনটা করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজ্জামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রক্টরিয়াল টিম ও শিক্ষকেরা গিয়ে মেয়েটিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর লাশ মর্গে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তাজ্জামুল হক বলেন, ‘আমরা এখনো আত্মহত্যার কারণ জানতে পারিনি। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং ময়নাতদন্তের পর জানতে পারব। যে ছেলেটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল, তাঁকে থানায় রাখা হয়েছে।’
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেছে পাকিস্তান
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। গত বুধবার রাতে দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এর ফলে পারস্পরিক শুল্ক কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। যদিও কোনো দেশই নির্দিষ্টভাবে শুল্কহার নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।
এদিকে, চুক্তির অংশ হিসেবে পাকিস্তানের তেলসম্পদ উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর ডনের।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। পাল্টা শুল্ক নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। বুধবারই তাঁর সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার, বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের বৈঠক হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের পরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে জানায়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বাজার প্রবেশাধিকার জোরদার করা এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ ও পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করাই এ চুক্তির মূল লক্ষ্য।
পাকিস্তান দূতাবাস আরও জানায়, চুক্তির ফলে পাকিস্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক কমবে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য আরও ভালো হবে। অবকাঠামো ও উন্নয়ন খাতেও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়বে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। এখন থেকে দেশটির বিশাল তেলসম্পদের উন্নয়নে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে।’ ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘আমরা এখন তেল কোম্পানি বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় আছি। কে জানে, একদিন হয়তো পাকিস্তান ভারতেও তেল রপ্তানি করবে!’
তবে চুক্তিটির বিস্তারিত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এ চুক্তির বিষয়ে আজ সকালে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি এক্সে লেখেন, ‘এই ঐতিহাসিক চুক্তি আমাদের স্থায়ী অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের নেতৃত্বে এমন একটি চুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে আমি কৃতজ্ঞ।’
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আওরঙ্গজেব চুক্তিটিকে ‘উইন-উইন’ বা উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক বলে বর্ণনা করেছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘যে যাত্রা আমরা কয়েক মাস আগে শুরু করেছিলাম, আজ তা সফলভাবে শেষ হলো।’
আওরঙ্গজেব আরও বলেন, ‘শুল্ক আলোচনার পাশাপাশি অশুল্ক বাধা, বাণিজ্য ভারসাম্য ও শুল্ক কাঠামোর পুনর্মূল্যায়ন নিয়েও আমরা কাজ করেছি।’