অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির অবস্থান আমাদের দুই কিডনির ঠিক ওপরে। এ গ্রন্থি থেকেই জীবনধারণের অত্যাবশ্যক কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয়। কোনো কারণে কর্টিসল হরমোন তৈরি কম হলে তাকে অ্যাড্রিনাল ইনসাফিসিয়েন্সি বলে। কর্টিসল হরমোন তৈরি বিপজ্জনকহারে কমে গেলে জীবনসংকট দেখা দিতে পারে। আর এই পর্যায়টাকেই অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস বলে।

কাদের হয়
অনেকেই চর্মরোগ, শাসকষ্ট, বাতব্যথা বা নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ওষুধ খান। তাঁদের দেহে কর্টিসল হরমোন তৈরির ক্ষমতা কমে যায়। তারপর একদিন হঠাৎ স্টেরোয়েড বন্ধ করলে কর্টিসলের তীব্র ঘাটতির কারণে অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস দেখা দেয়। যেহেতু কেউ কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অনেক সময় স্টেরয়েড কিনে খান, তাই আমাদের দেশে এটিই অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিসের সবচেয়ে বড় কারণ। এ ছাড়া যাঁরা অন্যান্য কারণে অ্যাড্রিনাল ইনসাফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন (যেমন অ্যাড্রিনাল টিবি, অটোইমিউন ডিজিজ) এবং এ জন্য নিয়মিত স্টেরয়েড সেবন করতে হচ্ছে, তাঁদের অসুস্থতায় অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুনস্ট্রেচ মার্ক কীভাবে দূর করা যায়২১ মার্চ ২০২৩

কী কারণে হয়
দীর্ঘদিন স্টেরয়েড বা অ্যান্টিফাঙ্গাল–জাতীয় ওষুধ সেবন (চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া), অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির যক্ষ্মা, অটোইমিউনিটি, টিউমার, প্রদাহ, মাথার টিউমার, মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি কারণে এ রোগ হয়ে থাকে।

উপসর্গ কী
এ রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে—প্রচণ্ড দুর্বলতা, মাথা ঘুরানো, চোখে ঝাপসা দেখা, হাত–পা অবশ হয়ে আসা, রক্তচাপ ও রক্তের সুগার কমে যাওয়া, তীব্র ক্ষুধামান্দ্য, বমি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

যা করতে হবে
অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। এমন রোগীকে অতিসত্বর হাসপাতালে আনার পর দ্রুত শিরাপথে স্যালাইন ও কর্টিসোল ইনজেকশন দেওয়া একান্ত জরুরি।
যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড সেবন করছেন, তাঁরা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে কী করণীয়, এই নির্দেশাবলি–সংবলিত স্টেরয়েড কার্ড অবশ্যই সব সময় নিজের সঙ্গে বহন করবেন। একটি স্টেরয়েড কার্ড জরুরি মুহূর্তে আপনার জীবন বাঁচাতে পারে।


ডা.

অঞ্জনা সাহা, হরমোন ও ডায়াবেটিস রোগবিশেষজ্ঞ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনহরমোন গুরুত্বপূর্ণ, তাই এ নিয়ে সচেতন হোন ২৪ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ট স

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ