Samakal:
2025-05-01@05:40:02 GMT

ওভারটাইম ভাতা চায় পুলিশ

Published: 1st, May 2025 GMT

ওভারটাইম ভাতা চায় পুলিশ

নির্ধারিত আট কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ওভারটাইম ভাতা চালু করার দাবি জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া অভিযান এবং অজ্ঞাত লাশ ব্যবস্থাপনায় সরকারি বরাদ্দ চেয়েছে। সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের বাসা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। গতকাল বুধবার পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে সন্ধ্যায় রাজারবাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব দাবি তুলেছেন কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বৈঠকে বলেন, পুলিশকে প্রতিনিয়ত নির্ধারিত আট কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর বিনিময়ে কোনো ওভারটাইম ভাতা পান না। কনস্টেবল থেকে শুরু করে আইজিপি পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত আট কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য ওভারটাইম ভাতা চালু করার প্রস্তাব করেন।

পুলিশ সদরদপ্তরের একজন সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা সেখানে বলেন, সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের বাসা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। পুলিশ পায় না। আবাসন সংকট রয়েছে। এই সংকট নিরসনে আবাসন পরিদপ্তরের বাসা পুলিশকে বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেন।

সভায় ঢাকার এসপি আনিসুজ্জামান বলেন, মামলা তদন্তে যে অর্থ বরাদ্দ, তা অপ্রতুল। কোনো মামলা তদন্তে সরকারি বরাদ্দের চেয়েও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়। মামলা তদন্তে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।

সভায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার তাঁর ইউনিটে জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া সিআইডির পক্ষ থেকে সভায় প্রতিটি জেলায় ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কথা বলা হয়।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড.

আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন আইজিপি ড. বাহারুল আলম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প রস ত ব র উপদ ষ ট বর দ দ ত ব কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ