বিএনপি গত ১৭ বছর কী করেছে, এমন প্রশ্ন যারা তুলছে, তাদের উদ্দেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আরে, ১৭ বছর আমরা গাছের গোড়ায় পানি ঢেলে গোড়া নরম করেছি, সেই গাছের আগায় বসে আপনারা ফল খেয়েছেন।...দুই দিনেই হাসিনার পতন হয়ে যায় নাই।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহান মে দিবসর শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপিকে শুনতে হয় ১৭ বছরে কোনো কিছুই করে নাই। কেউ কি বলতে পারবেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেলে যায়নি? এমনকি তারেক রহমান (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) পর্যন্ত জেলে ছিল। আশ্চর্য হতে হয় কিছু কিছু ছেলে বলে ১৭ বছর বিএনপি কী করছে। এটা যারা বলে তারা মিথ্যার সাগরে বসবাস করে। তারা বিএনপিকে ক্রেডিট (কৃতিত্ব) দিতে চায় না।’

মির্জা আব্বাস বলেন, একা একা ক্রেডিট নিতে গিয়ে দেশটাকে ধ্বংস করবেন না। সামনে দেশের দুর্দিন মারাত্মকভাবে এগিয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছি কি না, একটু খেয়াল রাখা দরকার। আমি যা বলেছি, আবার বলছি ফ্যাসিস্ট তাড়াতে গিয়ে আমরা আবার ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছি কি না, সেটা খেয়াল রাখবেন। আমরা বলতে কেবল বিএনপির কথা বলি নাই। সবার কথা বলছি আমি।’

অনৈক্য দেশটাকে শেষ করে দেবে—এমনটি উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, একেক জন একেক কথা বলছে, কেউ কারও কথা মানছে না।

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, মানবিক করিডর দিতে গিয়ে পৃথিবীর বহু দেশ ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে।

এই সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। রাজধানী ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ১৭ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ