এই ১০ রেড ফ্ল্যাগের কয়টি আপনার মধ্যে আছে
Published: 1st, May 2025 GMT
১. ক্রমাগত অন্যের সমর্থন খুঁজতে থাকা
নিজের ছোটখাটো বিষয়েও অন্যের ‘সার্টিফিকেট’ বা সোজা বাংলায় মতামত কিংবা সমর্থন আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনার নিজের প্রতি আস্থা নেই। এ কারণেই আপনি অন্যের সমর্থন খোঁজেন। অবশ্যই জীবনে অন্যের মতামত বা সমর্থনের প্রয়োজন আছে। তবে তারও একটা মাত্রা থাকা চাই।
২. একা থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করাএকা খানিকটা সময় নানা কিছু নিয়ে চিন্তা করা, লেখা, বই পড়া বা কেবল সময়টা উপভোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একা থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, এর মানে হলো, আপনি নিজেই নিজের সঙ্গ উপভোগ করেন না।
৩.অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে থাকা
আপনি নীরবে লুকিয়ে লুকিয়ে আপনার আশপাশের সবার সঙ্গে নিজের তুলনা করতে থাকেন। আর ভাবেন, আপনিই পিছিয়ে আছেন!
আরও পড়ুনঅন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা যেভাবে বন্ধ করবেন১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪৪. সাধ্যের বাইরে প্রতিশ্রুতি দেওয়াআপনি মানুষকে খুশি করতে তাৎক্ষণিকভাবে নিজের সাধ্যের বাইরে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে আর তা রক্ষা করতে পারেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্বের দুবর্লতা প্রকাশ পায়।
৫. আমার কিছুই হয়নিস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আপনার কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু আপনি অন্যের সামনে নিজেকে মেলে ধরতে বা সত্য প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। কেননা আবেগগত অনুভূতি প্রকাশ করা আপনার কাছে একটা দুর্বলতা। অথচ নিজের আবেগকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারা প্রকৃতপক্ষে আপনার ব্যক্তিত্বের একটি শক্তিশালী দিক।
৬. সর্বদাই ব্যস্তএর মানে আপনি একা। আপনি বাস্তবতা এড়িয়ে চলতে চান। পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আপনজন আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আরও পড়ুননিজের খুঁতগুলো যে কারণে এবং যেভাবে মেনে নেবেন২১ এপ্রিল ২০২৫৭. নিজের জয় উদ্যাপন না করাআপনি নিজের ছোট ছোট জয় উদ্যাপন করেন না। কেননা আপনার সব সময়ই মনে হয়, আপনি যা-ই করেন না কেন, যথেষ্ট নয়।
৮. ডিসট্রাকশন লাভারস্ক্রলিং, পার্টি, অনেক মানুষের মধ্যে থাকা—এককথায় অহেতুক সময় নষ্ট করা আপনার প্রিয় অবসর!
৯. ওভারশেয়ারিংকারও সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেক কিছু বলে ফেলেন। ফলে আপনি অন্যকে আপনার নিজের ব্যক্তিগত সীমানা অতিক্রম করার ও মানসিক শান্তি নষ্ট করার নিমন্ত্রণপত্র পাঠান। এতে অন্যেরা আপনার জীবনে নাক গলানোর অধিকার পায়।
১০. নিজের মনের কথা না শোনানিজের মনের কথা শুনুন। নিজের ‘গাট ফিলিং’কে গুরুত্ব দিন।
সূত্র: কি ফর সাকসেস মাইন্ড
আরও পড়ুনযে ৫টি কথা বলে নিজের অজান্তে সম্পর্কের বারোটা বাজাচ্ছেন১৭ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন য র স কর ন ন আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত