বরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মাতা প্রসূন রহমান নির্মাণ করেছেন সিনেমা ‘প্রিয় সত্যজিৎ’। ট্রিবিউট ফিল্মটি প্রদর্শিত হয়েছে বিভিন্ন উৎসবে, পেয়েছ পুরস্কারও। সিনেমাটি এবার দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। যার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছেন কিংবদন্তির জন্মদিনকে। চরকির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সত্যজিৎ রায়, উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রের বাতিঘর। তরুণরা তার সিনেমা দেখে নির্মাতা হবার স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখানো এই মানুষটির জন্মদিন আজ ২ মে শুক্রবার। বিশেষ দিনটিতে সত্যজিৎকে স্মরণ করতেই চরকিতে এসেছে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘প্রিয় সত্যজিৎ’।
নির্মাতার ভাষায়, ‘‘এটি সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ট্রিবিউট হিসেবে নির্মিত হলেও নির্দিষ্ট কোনও সময়ের চলচ্চিত্র নয়। সত্যজিতকে সঙ্গী করে সাহিত্যের প্রতি, সিনেমার প্রতি, জীবনঘনিষ্ঠ শিল্পের প্রতি ভালোবাসা জানানোর চলচ্চিত্র। এটা আমাদের ‘লাভ-লেটার টু সিনেমা’। শিল্পের অনুষঙ্গে দিনযাপনের যে কোনও উপলক্ষেই এর প্রদর্শন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। চলচ্চিত্রপ্রাণ দর্শকের কিছুটা ভালোবাসা পাক ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ এইটুকু প্রত্যাশা।”
প্রিয় সত্যজিৎ’–এর কাহিনি ৩ সময়ের ৩ জন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে নিয়ে। প্রথমজন সত্যজিৎ রায় নিজে। যিনি উপস্থিত না থেকেও সেখানে বিরাজমান। আর অন্য দুজন পরবর্তী ২ প্রজন্মের। প্রবীণ নির্মাতা আসিফ মাহমুদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নবীন নির্মাতা অপরাজিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌটুসী বিশ্বাস। আরও কয়েকটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন পংকজ মজুমদার, সাইদ বাবু, সঙ্গীতা চৌধুরী, লাবণ্য চৌধুরী, এহসানুল হক, নুসরাত জাহান নদী ও আবীর। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই চলচ্চিত্র নিয়ে প্রসূন আগে জানিয়েছিলেন, সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে নেটফ্লিক্সে সিরিজ, কলকাতায় সিনেমা হলেও বাংলাদেশে তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তাই নিজ উদ্যোগে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেন প্রসূন।
সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃকভিটা ছিল কিশোরগঞ্জে। সেখানকার মসূয়া’য় সত্যজিৎ রায়ের দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়িসহ আরও দুটি জায়গায় এবং পুরনো ঢাকার একটি বাড়িতে হয়েছে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন
শ্রমিক অধিকার আদায়ের দিন মহান মে দিবস আজ। কর্মক্ষেত্রে বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন। অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিনটি উপলক্ষে বুধবার দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম; দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সরকারি অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– সকাল সাড়ে ৭টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শোভাযাত্রা। শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এর উদ্বোধন করবেন।
মে দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপে শ্রমজীবী মানুষ দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করছেন। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হয়। এখন শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকার কথা না। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা। এতে ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলার নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
এ উপলক্ষে গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, শ্রমজীবী মানুষের আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় পল্টনে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। উপস্থিত থাকবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।