বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তিন ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ইরাবতী প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন পায়রা নদী থেকে ডলফিনটি উদ্ধার করেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) তালতলী শাখার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান ও প্রাণী প্রেমীরা।
ধরা’র সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, “শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটক নিয়ে পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মোহনায় নৌকায় ভ্রমণ করতে যাই। এসময় নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি ইরাবতী প্রজাতির মৃত ডলফিন দেখতে পাই। ডলফিনটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
পদ্মার তীরে মৃত ডলফিন
সৈকতে অর্ধগলিত ডলফিন
নলবুনিয়া বিট কর্মকর্তা মো.
মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান না করেই মাটি চাপা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছি, প্রাণীটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।”
তালতলী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ডলফ ন ম ত ডলফ ন র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতা চান প্রিন্স হ্যারি
রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রিন্স হ্যারি। যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ে হারের পর বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিউক অব সাসেক্স হেনরি চার্লস আলবার্ট ডেভিড এই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। আবেগঘন ওই সাক্ষাৎকারে বাবা রাজা চার্লসের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।
হ্যারি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত এইসব কারণে বাবা (চার্লস) তার সঙ্গে কথা বলবেন না। কিন্তু তিনি আর লড়তে চান না। তাছাড়া, বাবা কতদিন বাঁচবেন তাও তিনি জানেন না।
১৫ মাস আগে যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। কিছুদিন আগে চার্লস ব্যক্তিগত এক বার্তায় তার ক্যান্সারের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। এরপরই বাবাকে নিয়ে ওই কথা বললেন প্রিন্স হ্যারি।
যুক্তরাজ্যে সফরকালে হ্যারি ও তার পরিবারের পুলিশি নিরাপত্তার মাত্রা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ে হেরে যান প্রিন্স হ্যারি। শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণা করে লন্ডনের আপিল আদালত।
২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগান মার্কেলকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিন্স হ্যারি। এরপর যুক্তরাজ্য সরকার হ্যারিকে আর আগের মতো সরকার-প্রদত্ত নিরাপত্তা না দেওয়া এবং প্রতিটি সফরের ক্ষেত্রে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রথম মামলায় হারের পর হ্যারি আপিল করেন। তার আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, হ্যারিকে ‘অযৌক্তিক ও কম মানের’ নিরাপত্তা দিয়ে অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে দেখা হয়েছে। কিন্তু আদালত সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, হ্যারির নিরাপত্তা কমানোর কারণ হচ্ছে, তার রাজকীয় অবস্থানের পরিবর্তন। তিনি এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে বাস করেন।
মামলায় পুনরায় পরাজয়ের পর হ্যারি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে চাই। আইনি লড়াই করার আর কোনও মানে হয় না। জীবন মূল্যবান।
তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের কিছু সদস্য ও আমার মধ্যে অনেক মতবিরোধ, মতভেদ আছে। কিন্তু এখন সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্ত্রী মেগান এবং সন্তানকে রাজপরিবারে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না, সেকথাও বলেছেন হ্যারি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছে তার ফলে পরিবারসহ নিরাপদে যুক্তরাজ্যে ফেরা ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।