বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুরের মা নির্মল কাপুর মারা গেছেন। শুক্রবার (২ মে) মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে করে অনিল কাপুরকে পারিবারিক বাসভবনে পৌঁছাতে দেখা যায়। তার সঙ্গে ছিলেন ভাই সঞ্জয় কাপুর, বোন রীনা কাপুর এবং ভাইপো অর্জুন কাপুর।
পরিবারের অন্যান্য সদস্য জাহ্নবী কাপুর, খুশি কাপুর, শনায়া কাপুর, শিখর পাহাড়িয়া ও বনি কাপুর-তার বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন। বহু সেলিব্রেটিরাও এমন দুঃসংবাদ পাওয়ার পর বাসভবনে উপস্থিত হন।
এদিন অনন্যা পান্ডে, জাভেদ আখতার, রানি মুখার্জি, অনুপম খের, জ্যাকি শ্রফসহ অনেকেই পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে সেখানে ছুটে যান।
নির্মল কাপুরের শেষকৃত্য শনিবার (৩ মে সকাল) মুম্বাইয়ের স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টায় ভিলে পার্লে শ্মশানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
নির্মল কাপুর ছিলেন প্রয়াত চলচ্চিত্র প্রযোজক সুরিন্দর কাপুরের স্ত্রী এবং বনি, অনিল, সঞ্জয় ও রীনা কাপুরের মা ছিলেন। সূত্র: এনডিটিভি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ল ক প র
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।