খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক ও সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত মোবারক হোসেন নোমানের ছাত্রত্ব ও সনদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ও পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া মারধরের ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের এবং অভিযুক্তের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

রেজাউল করিম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে তিনি বলেন, ‘নোমানের সনদ ও ছাত্রত্ব সাময়িক স্থগিত থাকবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে শুক্রবার রাতে গাছের আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারধর করেন বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র নোমান। এতে শিক্ষক অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে বেসরকারি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসান মাহমুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। 

রবিবার (৪ মে) সকালের দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমানুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার ও শনিবার দুইদিনব্যাপী অভিযান শেষে তাদের শনিবার রাত পৌনে ৮টায় থানায় হাজির করা হয়। 

এর আগে ১৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দর গ্রামের চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ দুপুরে তাদের মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমানুল্লাহ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উজ্জ্বল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদ রানা ও সাফি মীর, ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী আবিদ হোসেন ও হৃদয় হোসেন। তাদের সকলের বাড়ি সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

ঢাকা/চন্দন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ