দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা।
শনিবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ২৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বর ণ র দ ম স বর ণ র দ ম নত ন দ ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘জিয়া সাড়ে ৩ বছরে যা করে গেছেন, আমরা ৪৫ বছরেও তা পারিনি’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘দিনের পর দিন বা রাতের পর রাত যদি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা বলা হয়, তাহলেও তাঁর সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশের জন্য যে কাজ করে গেছেন, আমরা ৪৫ বছরেও তা অর্জন করতে পারিনি।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সেমিনারে আবদুল মঈন খান এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বিগত সরকার ১৭ বছরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার হয়তো চেয়েছিল জাতিকে মূর্খ করে রাখতে।
মঈন খান আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা হতে পারে। তিনি যে শিক্ষানুরাগী ছিলেন, হিযবুল বাহারে মেধাবীদের নিয়ে তিনি যে সমুদ্রযাত্রায় গিয়েছিলেন, সেটা প্রমাণ করে।
সেমিনারে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ ও মানুষের জন্য যে অবদান তৈরি করার, সেটি জিয়াউর রহমান করেছেন। মানুষকে স্বনির্ভর করতে তাঁর ছিল মহান পরিকল্পনা। উৎপাদনমুখী শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ্যে তিনি নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর শিক্ষাচিন্তা ছিল দূরদর্শী।
‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি‘ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। এতে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বাস্তববাদী ও ভবিষ্যৎমুখী নেতা। জাতি পুনর্গঠনের সাহসী পথপ্রদর্শক। উৎপাদনমুখী রাজনীতি ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার।
সভাপতির বক্তব্যে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘গত ১৭ বছরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন ক্রান্তিকালে আমরা প্রত্যাশা করি, আগামীর বাংলাদেশ হবে শিক্ষানির্ভর।’
সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সাদা দলের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন ও সদস্যসচিব অধ্যাপক এম এ কাউসার।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম সোহাগ আউয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব এ টি এম আবদুল বারী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন (পাভেল), জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন প্রমুখ।