সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এম. আই. ফারুকীর ইন্তেকালে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টে বিচারিক কার্যক্রম আংশিকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পাওয়া সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আজকের শুনানি হচ্ছে না।
রোববার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের সকল বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিচারপতি এম.
আজকের শুনানি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এখনো যতটুকু জানি, আজকে হয়তো শুনানি বসবে না। আজ না বসলে আগামীকাল (সোমবার) বসতে পারে।
এদিকে জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিচারপ্রার্থী ও কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
বেলা ১১টার দিকে 'ছাত্রসমাজ' আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে আইনজীবী আলিফ হত্যার বিচার ও চিন্ময়ের ফাঁসির দাবি জানান।
গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শুনানি হবে ৪ মে চেম্বার আদালতে। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, রোববার শুনানি হবে।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান ও বিচারপতি আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ চিন্ময় দাসের জামিন মঞ্জুর করে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন। সন্ধ্যায় হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানির জন্য ৪ মে দিন ধার্য হয়।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গত পাঁচ মাস ধরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল