পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিবিএস কেবলস লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)।
রবিবার (৪ মে) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেডের (এনসিআর) রেটিংস অনুযায়ী, বিবিএস কেবলস লিমিটেডের দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এ’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-৩’।
আরো পড়ুন:
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ন্যাশনাল ব্যাংক
পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়াতে ৬ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ
২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হলে রাজনীতির ‘রূপ’ কেমন হবে, আলোচনা হলেও সিদ্ধান্ত হয়নি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের একটি অংশের উদ্যোগে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রকাশ্য ও গুপ্ত—দুই ধরনের রাজনীতিই বন্ধ চায়। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিভিন্ন হলে সুস্থধারার রাজনীতি চালু রাখার পক্ষে। তবে গুপ্ত রাজনীতির বিরোধী তারা। হলে রাজনীতির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
হল ও ক্যাম্পাসে রাজনীতির ‘রূপ’ কেমন হবে, এ বিষয়ে গতকাল রোববার বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্রশিবিরের নেতারা অংশ নেওয়ায় বৈঠকের শুরুতেই ‘ওয়াকআউট’ করেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ–বিসিএলের নেতারা। গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের আগে গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি ছিল। সে কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের ভয়, আশঙ্কা ও ট্রমা রয়েছে। হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতির রূপ কেমন হওয়া উচিত, এ বিষয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করেছেন তাঁরা। কারণ, সামনে ডাকসু নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনে সব ছাত্রসংগঠনের পূর্ণ ভূমিকা প্রয়োজন এবং তাঁরা চান সবাই অংশ নিক।
এই বৈঠকের আগে গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল। এর প্রতিবাদে সেদিন রাতে হলে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মিছিল হয়, কয়েক শ শিক্ষার্থী প্রথমে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন, পরে তাঁরা ভিসি চত্বরে যান। সেখানে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান শিক্ষার্থীদের বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেটি বহাল থাকবে। অর্থাৎ, হলে ছাত্ররাজনীতি থাকবে না।
কিন্তু উপাচার্যের এই বক্তব্যে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৈঠকের পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করতে তাঁরা অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া ছাত্রদলের রাজনীতি করার কারণে কেউ যাতে ‘মব’–এর মাধ্যমে হেনস্তার শিকার না হন, প্রশাসনের কাছে এই দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
অবশ্য প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রসংগঠনগুলোর বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈঠকের বিষয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা হল ও একাডেমিক এরিয়ায় (যেখানে শ্রেণি কার্যক্রম চলে) প্রকাশ্য ও গুপ্ত—দুই ধরনের রাজনীতিই বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, আলোচনায় ছাত্র অধিকার পরিষদও হলে ছাত্ররাজনীতি না থাকার বিষয়ে মত দিয়েছে। অবশ্য কিছু সংগঠন হলে রাজনীতি থাকার বিষয়ে মত দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রশিবির কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।
বৈঠক শেষে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, হলে রাজনীতির ধরন কেমন হবে, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ই–মেইলের মাধ্যমে মতামত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের নেতারা নিজেদের বক্তব্য দেওয়ার পর বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। এই নেতাদের মধ্যে ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ’৯০–এর ‘সামাজিক চুক্তির’ (তখন ক্যাম্পাসে সক্রিয় সংগঠনগুলোর সম্মিলিত সিদ্ধান্ত) মাধ্যমে শিবিরকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু গণ–অভ্যুত্থানের পর কোনো রকম প্রক্রিয়া অনুসরণ করা ছাড়াই তাদেরকে আবার কীভাবে নর্মালাইজ (স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া) করা হলো, এ বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রশিবিরকে নর্মালাইজ করার রাজনীতি করছে প্রতিবার। যারা গুপ্ত রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে, তাদেরকে পলিটিক্যাল স্পেস দেওয়া যাবে না।’