শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার দাবিতে শিবিরের মানববন্ধন
Published: 5th, May 2025 GMT
শাপলা গণহত্যার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার (৫ মে) সকালে শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সংগঠনটির রাজশাহী মহানগর শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া। ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি মোহা.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের বিপ্লব হয়েছে গত বছরেরর ৫ আগস্ট। বিপ্লব পরবর্তী ৯ মাস পার হয়ে গেলেও এখনো খুনিদের বিচার হয়নি। ২০১৩ সালের ৫ মে নাস্তিক ব্লগার কর্তৃক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ঢাকার শাপলা চত্বরে তৌহিদী জনতা সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশ কর্মসূচি স্বৈরাচার হাসিনা সহ্য করতে না পেরে ইসলামপ্রেমী মুসল্লিদের ওপর দিনের বেলায় আক্রমণ করে ১১ জন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিকে শহীদ করেন। কিন্তু এখনো এর বিচার হয়নি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
আরো পড়ুন:
ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে তিতুমীরে মানববন্ধন
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখার সেক্রেটারি ইমরান নাজির, মাদ্রাসা ও দাওয়া সম্পাদক শাইনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক রুবেল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙা হলো ভাস্কর্য ‘অঞ্জলি লহ মোর’
ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অঞ্জলি লহ মোর’ নামের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবন, বিজ্ঞান ও কলাভবনের সামনের পুকুরপাড়ে স্থাপিত এ ভাস্কর্যের বেশির ভাগ অংশ গত মঙ্গলবার ভেঙে ফেলা হয়। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, প্রাক্তন উপাচার্য সৌমিত্র শেখর দায়িত্বে থাকার সময় প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ হয়। সেই সময় নির্মাণ করা হয় ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্য। এর নির্মাতা ভাস্কর মনীন্দ্র পাল। প্রকল্পের মূল নকশায় না থাকলেও প্রাক্তন উপাচার্যের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বর্তমান প্রশাসন।
ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য সরকার বলেন, ভাস্কর্যে যদি আর একটা আঘাত করা হয় এবং তা পুনর্নির্মাণ না করা হয়, তাহলে আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ভাস্কর্যটি আমাদের মূল নকশায় ছিল না। প্রাক্তন উপাচার্যের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েই এটি করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর এটি ভাঙার জন্য ছাত্রদের পক্ষ থেকে চাপ ছিল। পরে নতুন প্রশাসনের নির্দেশেই ভাস্কর্য ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী বলেন, ভাস্কর্যটি যতটুকু ভাঙা হয়েছে, আপাতত এর বেশি ভাঙা হবে না। আগামী ২২ জুনের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলতে চেয়েছিল। খুব মজবুত থাকায় তা ভাঙতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।