চ্যাম্পিয়নন্স লিগের ফাইনালে উঠতে নিজের খেলোয়াড়দের প্রতি প্রাণপণ লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন আর্সেনালের কোচ মিকেল আর্তেতা। আগামী বুধবার দ্বিতীয় লেগে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) মাঠে নামার আগে স্প্যানিশ এই কোচ জানিয়ে দিলেন, ফাইনালে উঠতে হলে মাঠে জীবন দিয়ে খেলতে হবে।

প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া প্রিমিয়ার লিগের দলটি। যদিও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাধিক মূল খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না আর্সেনাল। চোটের কারণে নেই গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েস, কাই হাভার্টজ, জর্জিনিও, টেকেহিরো তোমিয়াসু, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও রিকার্দো কালাফিওরি। তবে দলে ফিরেছেন মিডফিল্ডার থমাস পার্টে।

এসব অনুপস্থিতিকে দুর্বলতা হিসেবে না দেখে উল্টো খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছেন আর্তেতা। তিনি বলেন, উত্তেজনা, গায়ে কাঁটা দেওয়া অনুভূতি, সেই মুহূর্তটির অপেক্ষা—সব কিছু মিলিয়ে আমরা প্রস্তুত। আমি আমার দলের ওপর পুরোপুরি বিশ্বাস রাখি। এই মুহূর্তে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলাটা একটা বিশাল সুযোগ। আর এমন সুযোগ পেলে জীবন দিয়ে খেলতে হয়।

প্রথম লেগে একঝাঁক তারকা খেলোয়াড়কে হারিয়ে মাঠে নামা দলটির পারফরম্যান্সে গর্বিত এই স্প্যানিশ কোচ। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি যখন টানেল দিয়ে মাঠে নামছিলাম, তখন দেখি তোমিয়াসু, কালাফিওরি, গ্যাব্রিয়েল, হাভার্টজ, জেসুস, পার্টে, জর্জিনিও—সবাই বাইরে। ওরা সবাই মূল একাদশের খেলোয়াড়। এরপরও দলটা যেভাবে লড়েছে, তাতে আমি গর্বিত। খুব সামান্য ব্যবধানে হেরেছি। এজন্য আমি আশাবাদী।

২০০৬ সালের পর এই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের এতটা কাছাকাছি এসেছে আর্সেনাল। তবে ফাইনালে যেতে হলে পিএসজিকে তাদেরই মাঠে হারাতেই হবে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুধবার, ফ্রান্সের পার্ক দে প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর স ন ল আর স ন ল ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে

ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকা‌লে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফ‌রিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থে‌কে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবি‌রোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূ‌মিকা ছি‌লো তা খতিয়ে দেখা হ‌চ্ছে ব‌লেও জানান তি‌নি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন‌কে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের জিজ্ঞাসাবো‌দে নতুন নতুন তথ্য সাম‌নে আস‌ছে ব‌লেও জানান এ পু‌লিশ কর্মকর্তা। 
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।

গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।

গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ