যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় বাগেরহাট-৪ আসনের সাবেক এমপি আমিরুল ইসলাম মিলনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ফেরদৌস আলম তাকে আদালতে হাজির করে কারাগার আটক রাখার আবেদন করেন।

তারপক্ষে অ্যাডভোকেট ওবাইদুল ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে মূল নথি না থাকায় জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়। নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে জানিয়ে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। 

ঢাকা/এম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে বোমা হামলার সঙ্গে জাপানে পারমাণবিক বোমা ফেলার তুলনা করলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে পারমাণবিক বোমা ফেলার ঘটনার তুলনা করেছেন।

দ্য হেগে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) এ কাজটা (পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন) করতে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। বর্তমানে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বেশ ভালোভাবেই চলছে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘এ হামলাই যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু আমরা যদি এতে সফল না হতাম? আমি হিরোশিমার উদাহরণ টানতে চাই না, কিন্তু যেভাবে সেই হামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থামিয়েছিল, এটাও তেমনই এক আঘাত ছিল। এই হামলা এবারের যুদ্ধের ইতি টেনেছে। যদি আমরা ওটা (ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা) ধ্বংস না করতাম, তারা (ইরান) এখনো লড়াই চালিয়ে যেত।’

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে দ্য হেগে এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এ ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য ছিল...খুবই বিভ্রান্তিকর।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, “আমরা জানি না, এটা খুব ভয়াবহও হতে পারত।” তাদের কথাটা হয়তো ঠিক। কিন্তু আমার মতে, “আমরা জানি না” বলার কিছু নেই। ঘটনাটা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ আর ধ্বংসাত্মক।’

ট্রাম্পের সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ না হলেও এই হামলার সাফল্য তাঁর জন্য রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রাম্পের ডানপন্থী সমর্থকেরা আগেই বলেছিলেন, এমন সামরিক হস্তক্ষেপ ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ নীতি এবং বিদেশি যুদ্ধে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে খাপ খায় না।

তবে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানকে কখনো পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না এবং এই নির্ভুল ও সফল হামলা সেটা নিশ্চিত করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মার্কিন হামলা ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে। তিনি একে ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলার সঙ্গে তুলনা করেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতি টেনেছিল।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হিরোশিমা কিংবা নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না, কিন্তু ঘটনাটি আসলে একই রকমের।’

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ‘এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অন্তত কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে। আমার মনে হয়, তারা আর কখনো এমন কিছু করার সাহস পাবে না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সঙ্গে ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ