ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় গাইড বই দেখে পরীক্ষা দেওয়ায় আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার গফরগাঁও মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ট্রেড দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে ঘটনাটি ঘটে।

গফরগাঁও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমির সালমান রনি বলেন, “গফরগাঁও মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ট্রেড দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে তিনটি কক্ষ থেকে ৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও গাইড বই জব্দ করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

পুকুরে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বাবা জানেন ছেলে অসুস্থ

বজ্রপাতে গাছ লম্বালম্বি দ্বিখণ্ডিত, উৎসুক মানুষের ভিড়

অপরদিকে, জেএম কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন রাখায় দুইজন কক্ষ পর্যবেক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এছাড়া, ইসলামিয়া সরকারি স্কুল কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মুঠোফোন রাখা ও বোর্ডের নীতিমালা ভঙ্গ করে নিজের মেয়ে পরীক্ষার্থী হওয়ার পরেও পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করায় পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন না করার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা চাই। নকলের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসএসস পর ক ষ র পর ক ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ ২

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে শাপলা বেগম (১৪) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দত্তেরবাজার কুঠুরিঘাট-সংলগ্ন নদে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সাত বছর বয়সী আরও দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছে। মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ দুজনের সন্ধান এখনো মেলেনি। তাঁদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

মারা যাওয়া শাপলা গফরগাঁও উপজেলার বিরই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে পাশের কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মাঈন উদ্দিনের মেয়ে। নিখোঁজ দুজন হলো একই গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের হোসেন (৭) ও হাবিব মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (৭)। তারাও ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে একটি ছোট নৌকায় করে পাকুন্দিয়ার চরআলগী থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে গফরগাঁওয়ের বিরই এলাকায় মাদ্রাসায় যাচ্ছিল ওই শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নৌকাটি দত্তের বাজার কুঠুরিঘাট-সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে স্রোতের কারণে হঠাৎ উল্টে যায়। এতে নৌকার অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠলেও তিনজন নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় জেলেরা শাপলার মরদেহ উদ্ধার করেন।

নৌকাডুবির খবর শুনে স্থানীয় লোকজন ব্রহ্মপুত্র পাড়ে ভিড় করেন। স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সদস্য নজরুল বলেন, পাকুন্দিয়া চর আলগী ও গফরগাঁওয়ে বিরই এলাকাটি ব্রহ্মপুত্র নদের এপার-ওপার। পাঁচ শিক্ষার্থী নিয়ে নৌকাটি এপারে আসার সময় নদে স্রোতের কারণে উল্টে যায়। এ সময় মাঝিসহ দুজন শিক্ষার্থী সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও তিনজন নিখোঁজ হয়। পরে একজনের লাশ পাওয়া গেছে।

নৌকাডুবির পর স্থানীয় জেলেরা নৌকা নিয়ে জাল ফেলে শিশুদের উদ্ধারে অংশ নেন। অন্যদিকে খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বেলা ১১টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। বেলা দেড়টার দিকে ডুবুরি দলের নেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আসার আগে স্থানীয় লোকজন একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। দুজন শিশুর সন্ধানে আমার কাজ করছি; কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নদে অনেক স্রোত আছে।’

গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, পাশের পাকুন্দিয়া উপজেলার ওই শিক্ষার্থীরা ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে এপারে একটি মাদ্রাসায় পড়ে। আজ নৌকাডুবিতে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি দুজনের সন্ধানে কাজ চলছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ ২