অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। করদাতাদের চাহিদা ও মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এর ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। এবছর ইতোমধ্যে ১৬ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন এবং ২০ লাখের বেশি করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।

বুধবার (৭ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, আয়কর দিবস-পরবর্তী সময়েও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সেবা চালু রেখেছে। এখন রিটার্ন দাখিলের পর কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে আয়কর আইন ২০২৩ এর ১৮০(১) ধারা অনুযায়ী মূল রিটার্ন দাখিলের জন্য ১৮০ দিনের মধ্যে ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন করদাতারা। আজ পর্যন্ত ৭ হাজার ২২৫ জন করদাতা অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করেছেন।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর সনদ নেওয়ার জন্য অনলাইন সেবা গ্রহণে করদাতাদের উৎসাহ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৷ 

ঢাকা/এনএফ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আয়কর র ট র ন দ খ ল করদ ত

এছাড়াও পড়ুন:

জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয়: এনবিআর

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সব কয়টি ঘর ‘শূন্য’ হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায় বলে ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল বিষয়ক কিছু ভ্রান্ত ধারণার পোস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে। 

এসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনো কোনো করদাতা তাঁদের আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা প্রদান করে আসছেন। এসব জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।

রবিবার (১০ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানায়, করদাতাদের জানানো যাচ্ছে যে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তাঁর প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে।

করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন না করে এর কোন একটি শূন্য অথবা সবগুলো তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বে-আইনি এবং এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে তাঁর আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে করদাতাকে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে।

একজন করদাতার আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায় সংক্রান্ত বিষয়ে রিটার্নে সঠিক ঘোষণা প্রদান করা একজন করদাতার পবিত্র নাগরিক ও আইনি দায়িত্ব। করদাতার প্রকৃত আয়ের পরিমাণ আইনানুযায়ী করযোগ্য না হলে তাঁকে কোনো কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে কর প্রদেয় না হলেও সঠিক তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন না করে শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে শুন্য বা জিরো রিটার্ন দাখিল করার কোন সুযোগ আয়কর আইনে নেই।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করে যে, করদাতা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে আয়কর রিটার্নে প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন করে দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হবেন। একইসাথে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত প্রতারনামূলক জিরো রিটার্নের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে সুরক্ষিত রাখবেন।

ঢাকা/নাজমুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাঁচ শ্রেণির করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন না দিলেও চলবে
  • বিদেশিদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়
  • ‘শূন্য’ রিটার্ন দিলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল: এনবিআর
  • জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয়: এনবিআর