রাত পেরিয়ে সকাল, এখনো যমুনার সামনে বিক্ষোভ
Published: 9th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো চলছে। ইতিমধ্যে ৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল ছয়টার সময়ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েক শ নেতা-কর্মী বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা কিছুক্ষণ পরপর স্লোগান দিচ্ছেন।
গত ৮ ঘণ্টা ধরে কখনো টানা আবার কখনো কিছুটা বিরতি দিয়ে যমুনার সামনে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এনসিপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার সকাল ছয়টার চিত্র.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এবার ববি উপাচার্যের বাসভবনে তালা
এক দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের পর এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (৬ মে) উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এজন্য প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতে বুধবার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ গ্রাউন্ড ফ্লোরের সামনে ঘোরাঘুরি করে তারা বাসায় ফিরে যান।
আরো পড়ুন:
ববি উপাচার্যের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় ৩ মাস ধরে আটকে আছে পরীক্ষা
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ববির প্রশাসনিক ভবনে তালা
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি পুরণ না হওয়ায় তৃতীয় দিনের মতো এক দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ অথবা অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম সুজয় শুভ বলেন, “এ মুহূর্তে বেশিরভাগ বিভাগের পরীক্ষা চলমান। এ কারণে অনেকেই আন্দোলনে আসতে পারছে না। কিন্তু সব সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আর আমরা যারা আন্দোলনে রয়েছি, তারা একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো ধরনের বাধা দিতে পারি না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ করে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচিসহ উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।”
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এ আন্দোলন থেকে সরে যাব না। উপাচার্যের পদত্যাগই আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠানোর একমাত্র পথ।”
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী