আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ এনসিপির
Published: 9th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এনসিপির নেতাকর্মীরা শাহবাগ অবরোধ শুরু করেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যুমনার সামনের সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন এনসিপির মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা এখন থেকে রাস্তা ব্লক করব। আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগ অবরোধ করব। যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হবে না, ততক্ষণ আমরা শাহবাগ ছাড়ব না।
বক্তব্যে শেষ হলে হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি মিছিল যায় শাহবাগের দিকে। সেখানে গিয়ে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে সড়ক ব্লক করে তারা।
এর আগে আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়া হয়। রাতভর চলে এ কর্মসূচি। সকালে সেখান থেকে সরে গিয়ে ‘জমায়েত মঞ্চের’ সামনে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা।
আজ দুপুর ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার পাশে ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের পাশের ফোয়ারার সামনে ‘জমায়েত মঞ্চ’ করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ এনস প এনস প আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল কেনিয়া, নিহত ৮
কেনিয়াজুড়ে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর সরকারের বিরুদ্ধে এক দিনের বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসার পর, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে কেনিয়ায় মারাত্মক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউয়ের ঠিক এক বছর পর, গতকাল বুধবার (২৪ জুন) রাজধানী নাইরোবি ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ‘রুটোকে যেতে হবে’ বলে স্লোগান দেন এবং তার শাসনের শান্তিপূর্ণ বিরোধিতার প্রতীক হিসেবে পাম গাছের পাতা নিয়ে মিছিল করেন।
সরকার বিক্ষোভের সরাসরি টিভি ও রেডিও সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু রাজধানী নাইরোবির হাইকোর্ট সেই ডিক্রি বাতিল করে দেয়।
রুটো বিক্ষোভকারীদের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি না দেওয়ার আহ্বান জানান, কারণ জনতা তার সরকারি বাসভবনে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুলিশ তাদের পিছু হটিয়ে দেয়।
রুটো উপকূলীয় কাউন্টি কিলিফিতে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “কেনিয়ায় শান্তি নষ্ট করার জন্য বিক্ষোভ করা উচিত নয়। যখন কিছু ভুল হয় তখন আমাদের অন্য কোনো দেশে যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব।”
রুটো বুধবার তার সরকারি বাসভবন স্টেট হাউসে ছিলেন না। কারণ বিক্ষোভকারীরা সেখানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল।
বিক্ষোভকারীদের আটকাতেই খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের সঙ্গে। তাদের আটকাতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। চালানো হয় গুলিও। নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্লামেন্টের সঙ্গে মূল সড়কের সংযোগকারী রাস্তা। বন্ধ করে দেওয়া আশপাশের সব রাস্তা, ব্যাংক এবং দোকান।
বুধবারের বিক্ষোভে হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ এখনও দেয়নি, তবে কেনিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ল সোসাইটি অব কেনিয়া এবং পুলিশ রিফর্মস ওয়ার্কিং গ্রুপ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, কমপক্ষে আটজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
আহত ৪০০ জনের মধ্যে ৮৩ জনের ‘বিশেষ চিকিৎসা’ প্রয়োজন এবং আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি কেনিয়া নিহতের সংখ্যা ১৬ জন বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ জুন কর বাড়ানোর বিতর্কিত আর্থিক বিল পাসের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় কেনিয়ায়। রাজধানী নাইরোবি-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গিয়েছিল। ঠিক এক বছর পর ফের উত্তপ্ত হলো কেনিয়া।
ঢাকা/ফিরোজ