২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সাক্ষাৎ করেছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা সামরিক নেতার জন্য এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।

শুক্রবার রাশিয়ার বিজয় দিবস উপলক্ষে মস্কো সফরের সময় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মিন অং হ্লাইং। সেসময় তিনি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর মানবিক সহায়তা পাঠানোয় চীনকে ধন্যবাদ জানান। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রের বরাতে ‘দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ইরাবতীর

প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান চীনকে ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে দেশটির অবস্থানকে সমর্থন করার জন্য’ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং মিয়ানমারকে ‘জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথে চলতে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি দেশটির সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। মিয়ানমারকে চীনা নাগরিক ও প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সীমান্ত অপরাধ দমনেও ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি।

সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করেন। এরপরই দেশটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীকে প্রতিনিয়ত বহু জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। যেগুলোর মধ্যে কয়েকটি চীনঘনিষ্ঠ বলে ধারণা করা হয়। 

মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তবে তিনি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। 

অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স-এর হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এদিকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক স্বার্থে মিয়ানমারের সহিংসতা প্রভাব ফেলতে পারে বলে চীন উদ্বিগ্ন। তাই বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা সরকারের মধ্যস্থতায়ও ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন মিয়ানমারের বড় মিত্র ও অস্ত্র সরবরাহকারী হলেও, দেশটির সীমান্তবর্তী কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখে। বিশেষ করে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী বেইজিং।

এর আগে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান হিসেবে রাজধানী নেপিদোতে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মিন অং হ্লাইং।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শীর্ষ তিন বিজয়ীর অভিজ্ঞতা, আবেগ ও অর্জনের গল্প

প্লেটের ক্যানভাসে খাবার উপস্থাপনার জাদুই হলো ‘আর্ট অব প্লেটিং’। নতুন প্রজন্মের প্লেটিং-শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করতে ২০২২ সালে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ আয়োজন করে ‘আর্ট অব প্লেটিং সিজন-১ ’। প্রথমবার সাফল্যের পর এ বছরের এপ্রিলে আরও বড় পরিসরে এবং কঠিন কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আয়োজিত হয় ‘আকিজ টেবিলওয়্যার আর্ট অব প্লেটিং সিজন-২’ প্রতিযোগিতা।

প্রায় ২৫ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয় এ আয়োজনে। প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ২০০ জন প্রতিযোগী সুযোগ পান ঢাকায় গ্র্যান্ড অডিশনের। সেখান থেকে নির্বাচন করা হয় সেরা ৩০ জনকে। শুরু হয় একটি রোমাঞ্চকর রিয়েলিটি শো—যেখানে প্রত্যেকেই লড়েছেন ‘প্লেটিং মায়েস্ট্রো’ খেতাবের জন্য। বিচারকের আসনে ছিলেন মাস্টার শেফ ড্যানিয়েল সি গোমেজ এবং জনপ্রিয় কালিনারি আর্টিস্ট ও ট্রেইনার সাউদিয়া সুলতানা স্মিতা।
এবারের শীর্ষ তিনজন বিজয়ী—গোলাম রাব্বি, ইফ্ফাত জেরীন সরকার এবং রওজাতুর রুম্মানের অভিজ্ঞতা, আবেগ ও অর্জনের গল্প শুনেছেন দিনার হোসাইন হিমু

নিজের অবস্থান প্রমাণ করতেই রাব্বি আজ ‘প্লেটিং মায়েস্ট্রো’

গোলাম রাব্বির শৈশব কেটেছে বরিশালে। স্কুল-কলেজও ছিল সেখানেই। বর্তমানে তিনি পেস্ট্রি-শেফ হিসেবে দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তবে তাঁর ছোটবেলা মোটেও অন্য সবার মতো কাটেনি।

গোলাম রাব্বি বলেন, ‘মা মারা যাওয়ার কারণে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমার বড় হয়ে ওঠা। তবে অনেক মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। আর্ট অব প্লেটিংয়ে অংশগ্রহণটা ছিল সেই ভালোবাসারই একটি বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের একটি প্রতিযোগিতা হতে যাচ্ছে—আমার জানা ছিল না। মাসুম নামে আমার এক বড় ভাই এই প্রতিযোগিতার ফেসবুক পোস্টটি শেয়ার করে বলেন, তুমি এখানে অংশ নাও। আমি জানি তুমি পারবে। এভাবেই এখানে আসা।’

এই যাত্রায় কে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন? জানতে চাইলে রাব্বি বলেন, ‘প্লেটিং মায়েস্ট্রো হয়ে ওঠার পেছনে আমার অনুপ্রেরণা আমার ছেলে। তার জন্য আমি সব সময় এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম যেন সে বাবাকে দেখে গর্ব করে।’

প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গোলাম রাব্বি বলেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন ছিল টপ-টেন থেকে টপ-ফাইভে যাওয়া। মনে হয়েছিল, এ যাত্রা যেন এখানেই শেষ! এই পর্বে একটি আর্টকে খাবারের মাধ্যমে তুলে ধরতে হয়েছিল। প্রথমবার আমার প্লেটিং নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার আমাকে নতুন করে বানাতে হয়।’

চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার গ্রহণ করছেন মো. গোলাম রাব্বি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পূরণ ২০ মে থেকে
  • প্রথমবারের মতো নজরুল কনসার্ট, গাইবে দশ ব্যান্ড
  • আদালত থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি
  • প্রথমবারের মতো শাবিপ্রবিতে হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক চা প্রদর্শনী
  • আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হলেই বিপদ, পরের মৌসুমে পুড়বে কপাল
  • চবিতে প্রথমবারের মতো হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
  • শিরোপার স্বাদে মিষ্টিমুখ মোহামেডানে
  • ১০৬ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান কমাল মুডিস, কারণ কী
  • শীর্ষ তিন বিজয়ীর অভিজ্ঞতা, আবেগ ও অর্জনের গল্প
  • বিএসএমএমইউয়ে নার্সিং ভর্তিতে আবেদন শেষ ১৮ মে, ২০২১–এ এসএসসি হলেও আবেদন