দেশে জটিল লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসায় জীবন বাঁচাতে লিভার প্রতিস্থাপন বা ট্রান্সপ্লান্ট চালু করা এখন সময়ের দাবি। প্রতি বছর লিভারের এসব জটিল রোগে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয় এবং ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধার অভাবে অনেকেই অকালমৃত্যুর শিকার হন। সরকারি উদ্যোগ, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যমান জনবলের সমন্বয় করে দেশে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধা চালু করা সম্ভব।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা বলেন লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। লিভার রোগের চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশের (এএসএলডিবি) নতুন কমিটির অভিষেক উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সারাদেশের লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অংশ নেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা.

আবদুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এবং জাতীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ শাহেদ আশরাফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ডা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত