সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ
Published: 12th, May 2025 GMT
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (১২ মে) এক সংবাদ বিবৃতিতে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়।
ডিএমপি জানায়, ট্রাফিক বিভাগ যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও অহেতুক রাস্তা অবরোধের ঘটনায় কার্যত ব্যাহত হচ্ছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন বিদেশগামী যাত্রীরা এবং অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীরা।
এ পরিস্থিতিতে নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য অহেতুক সড়ক অবরোধ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যাতে তারা অহেতুক রাস্তা অবরোধ না করেন।”
ঢাকা/মাকসুদ/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য অন র ধ ড এমপ অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লাবাসীর মতামতকে বিবেচনায় নিন
নগর ব্যবস্থাপনায় নাগরিক অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি একটি আধুনিক শহরের মৌলিক ভিত্তি। কিন্তু কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সেই ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সিটি করপোরেশন ২৩টি নাগরিক সেবা ও সনদের মধ্যে ১৯টির ফি হঠাৎ করে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু নাগরিক সেবা ও সনদের ফি বাড়ানোর আগে নগরবাসীর কাছ থেকে কোনো মতামত গ্রহণ করা হয়নি, হয়নি কোনো গণশুনানিও। এ নিয়ে নগরবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯টি সেবার মধ্যে ১৬টি সেবার ফি এক ধাপে ৫ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে—২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। কিছু সেবার ক্ষেত্রে ফি দ্বিগুণ হয়ে ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এমন অনেক সেবার ফি বাড়ানো হয়েছে, যেগুলো দরিদ্র ও প্রান্তিক নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন বেকারত্ব সনদ, ভূমিহীন প্রত্যয়ন, মাসিক আয় সনদ, চারিত্রিক সনদ ইত্যাদি। বেকারত্ব সনদের ফি ৫ গুণ বাড়িয়ে ১০০ টাকা করায় বেকার তরুণদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেশি। একজন তরুণের ভাষ্য, ‘বেকারত্ব প্রমাণ করতে যদি ১০০ টাকা লাগে, তাহলে আগে তো আয় করতে হবে!’ আরও হতাশাজনক হলো, আগে যেসব অনলাইন আবেদন একেবারেই বিনা মূল্যে করা যেত, এখন সেগুলোর জন্যও ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে নাগরিকেরা ডিজিটাল সেবা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবেন।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের মাসিক সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের খরচও বেড়েছে, যার কারণে এই মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ১০০ টাকা অনেক বেশি টাকা নয়। আশা করি বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত চিন্তা করে নাগরিকেরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখবেন।’
নাগরিক সেবার ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কার্যত অভিভাবকহীন। নেই কোনো মেয়র, নেই কোনো নির্বাচিত পরিষদ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, জনগণের প্রতিনিধি ছাড়া কীভাবে একটি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ জনগণের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারে? নগরবাসী বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে তো নেনইনি; বরং গণশুনানি বা নগরবাসীর মতামত গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কয়েক বছর আগে কোনো ধরনের মতামত ছাড়া মানুষের বাসাবাড়ির কর ৮ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। পরে নগরবাসী আপিল করলে সেটি কিছুটা কমিয়ে আনা হয়। গণশুনানি বা জনগণের মতামত না নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত আবারও গ্রহণ করা হলো। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই, নাগরিক মতামত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফি নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি পুনর্বিবেচনা করুন।