ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাইনবোর্ড টাঙানোর পর সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতননের পর কার্যালয়টির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জানালার কাচ ভেঙে, দরজা খুলে নিয়ে যান। এর পর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।

গত শনিবার দুপুরে চরফ্যাশন পৌরসভার কলেজ রোডে আওয়ামী লীগের তিনতলা ওই ভবন দখলের পর এনসিপির সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আজ সোমবার সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালের দিকে ভবনের প্রবেশপথে কয়েকটি নতুন দরজা লাগানো হয়েছে। কার্যালয়ের ভেতরে এখনো ডেকোরেটর থেকে ভাড়া করা চেয়ার-টেবিল বসানো আছে। নিচতলায় চায়ের দোকান বসানো আছে। তবে জানালাগুলো এখনো খালি আছে। সেগুলো সংস্কার হয়নি।

ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নিয়ে এনসিপির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে এক জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগেই দেশটির এক নাগরিককে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ওই জিম্মির নাম এডান আলেকজান্ডার। তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর একজন সদস্য। সোমবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে হামাস।

হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এইমাত্র আল কাসেম ব্রিগেড (হামাসের সামরিক শাখা) জায়নবাদী সেনাসদস্য ও মার্কিন নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছে। একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হামাসের যোগাযোগের পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলো।’

হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে রেডক্রসের হাতে এডান আলেকজান্ডারকে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাঁর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করে দেশটির সরকার। যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হামাস সরাসরি যোগাযোগ করছে—এমন তথ্য সামনে আসার পরই এডানকে মুক্তি দেওয়া হলো।

মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর কথা ছিল ট্রাম্পের। এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত অ্যাডাম বোয়েলার বলেছিলেন, মুক্তি দেওয়ার খবরটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। জিম্মি অপর চার মার্কিন নাগরিকের মরদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলি হিসাবে ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় বন্দী রয়েছেন। এই জিম্মিদের ৩৪ জনই মারা গেছেন বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তখন থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ৫৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। এদিকে ইসরায়েলি সব জিম্মি মুক্ত না হওয়ায় ক্রমেই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলিদের ক্ষোভ বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ