চরফ্যাশনে এনসিপির ব্যানার টাঙানো আওয়ামী লীগের সেই কার্যালয়ের সংস্কার চলছে
Published: 12th, May 2025 GMT
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাইনবোর্ড টাঙানোর পর সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতননের পর কার্যালয়টির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জানালার কাচ ভেঙে, দরজা খুলে নিয়ে যান। এর পর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
গত শনিবার দুপুরে চরফ্যাশন পৌরসভার কলেজ রোডে আওয়ামী লীগের তিনতলা ওই ভবন দখলের পর এনসিপির সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আজ সোমবার সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালের দিকে ভবনের প্রবেশপথে কয়েকটি নতুন দরজা লাগানো হয়েছে। কার্যালয়ের ভেতরে এখনো ডেকোরেটর থেকে ভাড়া করা চেয়ার-টেবিল বসানো আছে। নিচতলায় চায়ের দোকান বসানো আছে। তবে জানালাগুলো এখনো খালি আছে। সেগুলো সংস্কার হয়নি।
ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নিয়ে এনসিপির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোটরসাইকেল হয়রানি
মোটরসাইকেল ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাগজপত্র দেখার নামে মোটরসাইকেল ধরার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। কী কী কাগজ লাগবে তা প্রস্তুত করার পর মোটরসাইকেল বিক্রি করার নিয়ম করা হোক!
ড্রাইভিং লাইসেন্সেও সেভাবে কড়াকড়ি করা হোক। অথচ বেশির ভাগই টাকা দিয়ে এই লাইসেন্স নেয়।
একটি লিখিত পরীক্ষা নিয়ে আর সামান্য আঁকাবাঁকা পথে চালাতে দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়! কিন্তু দরকার ছিল কয়েক দিনের প্রশিক্ষণের। সেটা কোনো ক্যাম্প বা ট্রেনিং সেন্টারে হতে পারে। যেখানে হাতেকলমে নিরাপদ ড্রাইভিং ও ট্রাফিক আইন শেখানো হবে। এ ক্যাম্প হতে পারে তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে। যারা ভালো পারবেন তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করে তিন দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। যারা অদক্ষ তাদের সময় লম্বা করতে হবে। অর্থাৎ লাইসেন্স ইস্যু করা হবে দক্ষতার ভিত্তিতে। সরকারি ফি ব্যতীত বাড়তি টাকা যাতে কেউ আদায় করতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হব।
দক্ষতা আর আইন মানা হচ্ছে মূল কথা। তা না হলে এই লাইসেন্স নেওয়া মানে টাকা খরচ করে সনদ কিনে নেওয়ার মতোই। এ ছাড়া দালালের সহায়তায় লাইসেন্স নেওয়ার কথাও লোকমুখে শোনা যায়। এসব অসাধু পন্থা প্রকাশ্যেই চলে!
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য এত জায়গায় দৌড়াতে হবে কেন? দক্ষতার ভিত্তিতে উপজেলা বা ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পর্যায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি কমবে।
কাজী সুলতানুল আরেফিন:
ছাগলনাইয়া, ফেনী
arefin.feni99@gmail.com