সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীর কবলে ব্যবসায়ী, নগদ অর্থ লুট
Published: 12th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে মো: হারুন অর রশিদ (৩২) নামে এক পরিবহন ব্যবসায়ী ছিনতাইকারীর কবলে পরেছেন। এসময় ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১১ মে) ভোর সাড়ে ৪টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড পারিজাত মার্কেটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। ছিনতাইর শিকার ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর গোপালপাড়া এলাকার মো: আবু বক্করের ছেলে।
এ ঘটনায় একই দিন রাতে ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে মো: আনোয়ার হোসেন ওরফে টোকাই আনোয়ার (৪৪) নামে একজনকে এজাহারনামীয়সহ আরো অজ্ঞাত ২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ওরফে টোকাই আনোয়ার আড়াইহাজার থানার দয়াকান্দা এলাকার মো: আ: ছামাদের ছেলে।
অভিযোগে হারুন অর রশিদ উল্লেখ করেন, গত রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ব্যবসায়িক কাজ-কর্ম শেষে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড স্ট্যান্ড থেকে কাঁচপুরের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে সাইনবোর্ডের পারিজাত মার্কেট সংলগ্ন ইমরানের বাউল ক্লাবের সামনে পৌঁছামাত্র বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার পথের গতিরোধ করে আমার নিকট থাকা সকল কিছু তাদেরকে দিয়ে দিতে বলে।
তখন আমি তাদেরকে আমার নিকট থাকা মালামাল দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারী চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করতঃ তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি ও ক্ষুর দ্বারা আমাকে ভয়-ভীতি দেখাইলে আমি ভীত-সন্ত্রস্ত হইয়া পড়ি।
এসময় বিবাদীরা আমার নিকট থাকা পরিবহনের ভাড়া বাবদ পাওয়া নগদ ৭৫ হাজার টাকা ছিনাইয়া নেয় এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকী-ধামকী প্রদান করে চলে যায়।
পরবর্তীতে আমি আমার বন্ধু মো: জসিম মন্ডলকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে আমার বন্ধু ঘটনাস্থলে এসে আমার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে আশে-পাশে খোঁজ করে ছিনতাইকারী আনোয়ার ওরফে টোকাই আনোয়ারকে পেয়ে আটক করলে বাউল ক্লাবের জনৈক ইমরানসহ আরো কয়েকজন আমাদের টাকা ফেরত না দিয়েই আমাদের নিকট হতে জোরপূর্বক ছিনতাইকারীকে ছাড়াইয়া নেয় এবং দ্রুত এইখান থেকে চলে যেতে বললে সে চলে যায়। এসময় জনৈক ইমরানসহ আরো কয়েকজন আমাদেরকে ঘটনাস্থল হতে তাড়াইয়া দেয়।
অভিযোগে হারুন আরো উল্লেখ করেন, বিবাদীরা উগ্র, বদমেজাজী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভবঘুরেভাবে ঘোরাফেরা করিয়া বিভিন্ন অপরাধ সংঘটন করে থাকে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে ছিনতাইকারী আনোয়ার ওরফে টোকাই আনোয়ারের বিরুদ্ধে মোবাইল, নগদ অর্থ ছিনতাই ও মোটারসাইকেল চুরি সহ নানাবিধ অপরাধ সংঘঠিত করার অভিযোগ রয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহীনুর আলম জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই স দ ধ রগঞ জ ব যবস য় ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি পরিবহনে আগুন দিয়ে নাশকতার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০ জন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলাকারীরা দলীয় স্লোগান ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে।
জানাগেছে, গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এরআগে , গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুটি নাশকতার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং জড়িতদের শনাক্তে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলছে বলে জানা গেছে।
মিনিবাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শনিবার ভোরে মিনিবাস চালক সোহাগ মিয়া (৩৮) স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন যে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভুক্তভোগী চালক দাবি করেন, এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুড়ে যাওয়া মিনিবাসটি জব্দ করে হেফাজতে নেয়।
অন্যদিকে সিএনজি চালক মো. বাবুল মিয়া (৫৪) অভিযোগ করেন, গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সিএনজিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা প্রতিটি নাশকতার ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।