ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। প্রথমবারের মতো ‘পুষ্পা’ সিনেমার আইটেম গানে কোমর দুলিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমার এই গানের একটি লিরিক্যাল ভিডিও ইউটিউবে মুক্তি পায়। ‘ও আন্তাভা, ও ও আন্তাভা’ শিরোনামের এই গান মুহূর্তের মধ্যেই আলোচনায় চলে আসে।

সামান্থার এই আইটেম গানটি বিশ্বের সেরা ১০০ মিউজিক ভিডিওর তালিকায় সবার উপরে জায়গা করে নেয়। তারপর ৮-৮০ বছর বয়সি মানুষও এই গানে নেচেছেন। তুমুল জনপ্রিয় এই গান নিয়ে কথা বলেছেন সামান্থা। গালাতা ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন এই তারকা।

সামান্থা রুথ প্রভু বলেন, “এমন বিশেষ একটি গানের জন্য আমাকে কে ভাববে? তাও যে গানটিতে সত্যি আমাকে আকর্ষণীয় দেখাতে হবে! আমি সবসময়ই সুন্দর, পাশের বাড়ির মেয়ের মতো অভিনয় করতাম। এটি কেবল কোরিওগ্রাফির বিষয় নয়। বরং এটি একটি সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্ব।”

গানটিতে কেবল নাচের বিষয়ই ছিল না। বরং আচরণগত ব্যাপারও ছিল। তা জানিয়ে সামান্থা বলেন, “এটি কেবল নাচের বিষয় ছিল না। এটি আচরণেরও ব্যাপার ছিল। একজন নারী যে স্বভাবে উগ্র, আত্মবিশ্বাসী এবং যৌনতায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অথচ এ সবের কিছুই আমার মধ্যে নেই।”

নিজেকে আবেদনময়ী মনে করেন না সামান্থা। তার ভাষায়, “আমি আমার জীবনে, কখনো নিজেকে সুন্দরী, আবেদনময়ী নারী মনে করিনি। আমার মনে হয়, ‘ও ও আন্তাভা’ আমার জন্য একটি সুযোগ ছিল।”

গানটির প্রথম দিনের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সামান্থা রুথ প্রভু বলেন, “প্রথম শটে ৫০০ জুনিয়র আর্টিস্টের সামনে নেচেছিলাম। সত্যি বলতে আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম।”
 
জনপ্রিয়তার কথা চিন্তা করে এ সিনেমার দ্বিতীয় পার্ট নির্মাণ করেছেন পরিচালক সুকুমার। গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় এটি।

এ সিনেমায়ও আইটেম গান রাখা হয়েছে। সিক্যুয়েলটির আইটেম গানেও সামান্থাকে নাচের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজি হননি ৩৮ বছরের সামান্থা। তার পরিবর্তে নেওয়া হয় শ্রীলীলাকে। সামান্থার মতো আলোড়ন তুলতে না পারলেও প্রশংসা কুড়ান শ্রীলীলা। বক্স অফিসেও দারুণ সাড়া ফেলে সিনেমাটি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইট ম গ ন এই গ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ প্রসঙ্গ: পরীক্ষা বাতিল, তদন্ত কমিটি

খুলনার সরকারি বিএল কলেজে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি নিয়ে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্ন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নপত্র ফেরত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষা বাতিল এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ২টায় একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সমাজবিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। কলেজের একাডেমিক ভবন-১ এ (ইন্টারমিডিয়েট ভবন) নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হয়। প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, ৯ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নে লেখা হয়েছে— ‘জনাব রিয়াজ তার নাতনিকে নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ি পরিদর্শনে যান। সেখানে একজন মহান নেতার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, এই ছবিটি আমাদের সেই প্রিয় নেতার, যিনি ১৯৬৬ সালে কিছু দাবি পেশ করেছিলেন। আর এগুলো ছিল আমাদের প্রাণের দাবি, প্রত্যাশিত স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি। পরবর্তীতে এ দাবিগুলো মুক্তিকামী জনতার মধ্যে গভীর উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।’

পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি নজরে আসলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্রুত প্রশ্ন ফেরত নেওয়া হয়। এর পর প্রথমে পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে বাতিল করা হয়। 

কক্ষ পরিদর্শক বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ জহিরুল ইসলাম বলেছেন, “প্রথমে ৩০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। এর পর ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। প্রশ্নপত্র পড়ে দেখতে গিয়ে সিরিয়াল এলোমেলো দেখে চোখে লাগে। পরে পুরো প্রশ্ন পড়ে দেখি ভেতরে এসব লেখা। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানালে তিনি প্রশ্ন নিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আমি প্রশ্ন সংগ্রহ করে প্রশাসনের কাছে জমা দিই।”

এদিকে, পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরির সঙ্গে জড়িত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিত্য রঞ্জন সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। ঘটনা তদন্তে ইসলামী ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু তালেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বিএল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সেখ মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “শুধু ৯ নম্বর নয়, ৪, ৭ ও ১১ নম্বর প্রশ্নেও ভুল ছিল। কয়েকটি প্রশ্নের সঙ্গে উদ্দীপকের মিল ছিল না। প্রশ্ন পেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা হাসাহাসি শুরু করে। বিষয়টি নজরে আসার পর প্রশ্ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। একজন শিক্ষক কীভাবে এত ভুল করল, এটা জানতে তাকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”  

এ বিষয়ে কথা বলতে প্রশ্ন তৈরির সঙ্গে জড়িত নিত্য রঞ্জন সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ