হামলা মামলায় তিন ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 14th, May 2025 GMT
সাবেক সেনা কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগে পলাশে ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নরসিংদী র্যাব-১১ এর কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ।
এর আগে ১০ এপ্রিল পলাশ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোজাম্মেল হক। তিনি পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে।
নরসিংদীর র্যাব-১১ এর কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে সোমবার রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী, সেটা মুখ্য নয়; অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্রদলের তিন নেতা গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নেতাকর্মী। বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম হোসাইন জানান, প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
চার কিশোরীর ধর্ষণ, হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়নি ৩৩ বছরেও
১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বরের রাত। টেক্সাসের অস্টিন শহরের ব্যস্ত এক বাণিজ্যিক এলাকায় ছোট্ট এক দইয়ের দোকান। সেখানেই ঘটে গেল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। দোকান থেকে উদ্ধার হলো চার কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ। ১৩ বছরের অ্যামি এয়ারস, ১৫ বছরের সারা হারবিসন, ১৭ বছরের জেনিফার হারবিসন ও এলিজা থমাসকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে। তাদের গলা টিপে ধরা হয়েছিল, শরীর বেঁধে রাখা হয়েছিল দড়ি দিয়ে, মাথায় গুলি করা হয়েছিল—এরপর প্রমাণ নষ্ট করতে দোকানেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই হত্যাকাণ্ড আজও অস্টিনবাসীর মনে এক দুঃসহ স্মৃতি। এইচবিও তাই চার পর্বের তথ্যচিত্র ‘দ্য ইয়োগার্ট শপ মার্ডারস’ নির্মাণ করেছে, যেখানে আর্কাইভ ফুটেজ, তদন্তকারীদের বক্তব্য, আর নিহত ব্যক্তিদের পরিবার-বন্ধুদের সাক্ষাৎকারে ফুটে উঠেছে শোক, ক্ষোভ আর অসহায়তার চিত্র।প্রথম পর্বেই নিহত অ্যামি এয়ারসের বাবা বব এয়ারস বলেন, ‘৩০ বছর, ৭ মাস, ৫ দিন হয়ে গেল—তবু আজও বিশ্বাস করতে পারি না।’ প্রতি রবিবার রাত ১০টায় এইচবিওতে সম্প্রচারিত হচ্ছে এই তথ্যচিত্র সিরিজ। যারা ‘ট্রু ক্রাইম’ ধরনের তথ্যচিত্রে আগ্রহী, তাঁদের কাছে এটি দেখা, নিঃসন্দেহে এক ভয়ংকর আর হৃদয়স্পর্শী অভিজ্ঞতা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর পর ভেতরে যা দেখেছিলেন, তা বর্ণনা করতে গিয়ে সেই সময়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন—‘চারদিকে ধোঁয়া, ভেজা সিলিং, গলে যাওয়া আসবাবের মধ্যেই দেখা যাচ্ছিল লাশগুলো। তিনটি একসঙ্গে, আরেকটি একটু আলাদা।’
এই হত্যাকাণ্ডে অস্টিন শহর শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়। নিহত কিশোরীদের পরিবার ও স্থানীয় ব্যক্তিরা ন্যায়বিচারের দাবিতে মিছিল করেছিলেন, শহরের রাস্তায় টাঙানো হয়েছিল পোস্টার ও বিলবোর্ড, স্থানীয় সংগীতশিল্পীরা গান লিখেছিলেন তাঁদের স্মরণে। তবু ৩৩ বছর পরেও রহস্যের জট খোলেনি।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এইচবিওর নতুন তথ্যচিত্র ‘দ্য ইয়োগার্ট শপ মার্ডারস’। গত ৩ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে চার পর্বের তথ্যচিত্রটি। মুক্তির পর থেকে সমালোচকদের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে তথ্যচিত্রটি।
তদন্ত ও ভেঙে পড়া বিচারপ্রক্রিয়া
ঘটনার অল্প কিছুদিন পরই মেক্সিকোয় দুজনকে আটক করা হলেও তাঁরা জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ করলে মামলা এগোয়নি। ১৯৯৯ সালে অস্টিন পুলিশ আবারও চার তরুণকে গ্রেপ্তার করে—রবার্ট স্প্রিংস্টিন জুনিয়র, মাইকেল স্কট, মরিস পিয়ার্স ও ফরেস্ট ওয়েলবর্ন।