একসঙ্গে ফিরছেন বলিউডের সফল জুটি অভিনেতা আমির খান ও পরিচালক রাজকুমার হিরানি। ভারতের সিনেমার জনক দাদাসাহেব ফালকের বায়োপিকে একসঙ্গে পাওয়া যাবে তাঁদের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষে সিনেমাটির চিত্রগ্রহণ শুরু হবে। ‘থ্রি ইডিয়টস’ ও ‘পিকে’ ছবির প্রায় ১১ বছর পর তাঁদের একসঙ্গে যুক্ত হওয়া সিনেমাপ্রেমীদের জন্য বড় খবর।
বায়োপিকটি দাদাসাহেব ফালকের জীবন ও তাঁর চলচ্চিত্রে অবদানের গল্প বলবে। ছবিটি ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের পটভূমিতে নির্মিত হবে, যেখানে দেখানো হবে কীভাবে তিনি শূন্য থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সিনেমাশিল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন।
আরও পড়ুনক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিচ্ছেন আমির১৩ মে ২০২৫প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, আগামী অক্টোবরে ছবির শুটিং শুরু হবে। আমির খান ‘সিতারে জমিন পার’ মুক্তির পর নতুন ছবির জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন। বায়োপিকটির চিত্রনাট্য চার বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে। রাজকুমার হিরানি, তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোগী অভিজাত যোশী এবং লেখক হিন্দুকুশ ভারতবংশী ও অবিষ্কার ভারতবংশী মিলে এটি তৈরি করেছেন।
ছবির সময়কালের যথাযথ চিত্রায়ণের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের ভিএফএক্স স্টুডিওগুলো কাজ করবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তারকার মিছিল, মুখোশ খুলতেই বিস্ময়
আমন্ত্রণপত্রে শুধু নির্মাতা তানিম নূরের নাম; ১৩ মে সন্ধ্যায় আমন্ত্রিতরা যখন সংবাদ সম্মেলনে এসে হাজির হলেন, তখনো তাঁরা জানেন না সিনেমাটার কী নাম, কারা আছেন। হঠাৎ একে একে কক্ষে এসে ঢুকলেন তারকারা, সবারই মুখে মুখোশ! একটু পর মঞ্চে ডাক, মুখোশ খোলেন তাঁরা। অচিরেই সংবাদ সম্মেলন হয়ে উঠল তারকাদের মিলনমেলা। একসঙ্গে এত তারকা! তরুণ নির্মাতা তানিম নূর ঘোষণা করলেন তাঁর সিনেমার নাম, ‘উৎসব’।
একসঙ্গে হাজির দেশের প্রথম সারির অভিনয়শিল্পীরা—জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, আজাদ আবুল কালাম, অপি করিম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সাদিয়া আয়মান। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন না, তবে নির্মাতা নিশ্চিত করেছেন, সিনেমায় আছেন জয়া আহসান, তারিক আনাম খান, সৌম্য জ্যোতি। গল্প লিখেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও সামিউল ভূঁইয়া। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন রাশেদ জামান।
শুরুতেই মঞ্চে আসেন সিনেমার পরিচালক এবং দুই প্রযোজক। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রদর্শন করা হয় সিনেমার নাম; নামের নিচে বড় বড় করে লেখা, ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ।’ নির্মাতা জানান, এই সতর্কবার্তা নিছক চমক নয়; বরং সিনেমার মূল বার্তা। ‘উৎসব’ যেন এক আধুনিক চিঠি, পাঠানো হয়েছে নব্বইয়ের দশকের সোনালি সময় থেকে। যেখানে পরিবারের সবাই মিলে বসে নাটক বা সিনেমা দেখার রেওয়াজ ছিল। সেই চিত্রই আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। ঈদের ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সেই অভ্যাসকে স্মরণ করাতেই এ উদ্যোগ।
‘উৎসব’ সিনেমার শিল্পীরা