তিন দিন না যেতেই ফের কমল স্বর্ণের দাম
Published: 15th, May 2025 GMT
তিন দিন না যেতেই আবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে; কমেছে দাম, যা শুক্রবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এখন প্রতি ভরি স্বর্ণ ৩ হাজার ৪৫২ টাকা কমে বিক্রি হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে ১২ মে (সোমবার) রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বর্ণের দাম কমানোর তথ্য দিয়েছিল সমিতি।
আরো পড়ুন:
‘বিনাধান-২৫ চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে’
স্বর্ণের দাম কমেছে
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ওঠার পর ৮, ১০ ও ১২ মে দাম কমার ঘোষণা আসে।
বৃহস্পতিবার রাতে দাম কমিয়ে বাজুসের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমে যাওয়ায় ভরিপ্রতি মূল্য কমানো হয়েছে। নতুন দাম শুক্রবার (১৬ মে) থেকে কার্যকর হবে।
২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬০৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৩৩ টাকা ধরা হয়েছে, যা শুক্রবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।
বাজুসের তথ্য অনুয়াযী, ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেটের রুপার দর ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির ভরিপ্রতি দর ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
গত ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠে সর্বোচ্চ, সেদিন ভরিপ্রতি দাম বেড়েছিল ৫ হাজার ৩৪২ টাকা। ওই দিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকায়।
তবে ১০ মে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা। তার পরদির ফের স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা আসে বাজুজের পক্ষ থেকে।
চলতি বছর ৩২ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২১ বার, আর কমেছে মাত্র ১১ বার। ২০২৪ সালে দেশের বাজারে ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়। তার মধ্যে দাম বৃদ্ধি করা হয় ৩৫ বার, তবে হ্রাস করা হয় ২৭ বার।
ঢাকা/এনএফ/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২২ ক য র ট র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে পটিয়ার পর নগরেও সড়ক অবরোধ বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির নেতা-কর্মীদের
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারসহ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সংগঠন দুটির নেতা–কর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে নগরের খুলশী এলাকায় অবস্থিত ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত জাকির হোসেন সড়ক অবরোধ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা–কর্মীরা। বিকেল সোয়া চারটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।
বেলা সোয়া তিনটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা–কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা সামনে থাকা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে ডিআইজিকে তাঁদের সামনে এসে কথা বলার আহ্বান জানান। ডিআইজি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব সাজ্জাদ হোসাইন ঘটনাস্থলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পটিয়ার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়নি। গত জুলাইয়ে তাঁরা আমাদের ওপর যেভাবে জুলুম চালিয়েছেন, একইভাবে গতকাল মঙ্গলবার পটিয়ায় জুলুম চালানো হয়েছে। আমরা জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আমরা সরাসরি ডিআইজির সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
গতকাল রাত সাড়ে ৯টা ও সাড়ে ১১টায় পটিয়া থানার পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে উভয় পক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা। পরে তাঁকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় পটিয়া থানা ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কও অবরোধ করা হয়।