পুরান ঢাকার বংশালে মূল সড়কের দুই পাশে মালামাল ফেলে রেখে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোয় কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিসের ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বংশালে মূল সড়কের দুই পাশে বেশ কিছু বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে তাদের মালামাল ফেলে রেখেছিল। ফলে সাধারণ যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছিল। বারবার নির্দেশনা সত্ত্বেও মালামাল না সরানোয় বৃহস্পতিবার ডিএমপি ট্রাফিকের লালবাগ বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুযায়ী রাস্তায় থাকা মালামাল জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় অনেক মালিক ও কর্মচারী মালামাল ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

এ ছাড়া সড়কে অবৈধ পার্কিংয়ের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ট্রাফিক পুলিশের পিওএস মেশিনের মাধ্যমে ২০টি মামলা দায়ের করা হয় বলে ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষে এনসিপি নেতাসহ আহত ৫

নাটোরের বড়াইগ্রামে রাস্তা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন- এনসিপির বড়াইগ্রাম উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুহু ইসলাম (৩৪), তার বাবা রফিকুল ইসলাম রাফি (৭০), মুরাদ হোসেন (৯২), তার ছেলে সেলিম হোসেন (৩৩) ও স্ত্রী রাহেদা বেগম (২৮)। গুরুতর আহত মুরাদ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবং অন্য চারজনকে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর গ্রামে মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত জমিতে অনেক আগে থেকে পায়ে চলাচলের একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই সেখানে কাদা জমে। সম্প্রতি এনসিপির দলীয় ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে নুহু ইসলাম ওই রাস্তায় ইট বিছাতে যান। এতে বাধা দেন মুরাদ হোসেন। এ নিয়ে আজ কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত হন কয়েকজন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

গাজীপুরে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ

এনসিপি নেতা নুহু ইসলাম বলেন, ‍“আমাদের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে চলাচলের রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বৃষ্টি হলেই কাদা জমে। দলীয় ফান্ড থেকে সহায়তা নিয়ে সেখানে ইটের কাজ করতে গেলে মুরাদ হোসেনসহ তারা লোকজন হামলা করেন। তারা আমাকে ও বাবাকে জখম করেছে।’

মুরাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হাই বলেন, “আমাদের ব্যক্তিগত জমি দিয়ে পায়ে চলার রাস্তা দিয়েছি। সেটাই পাকা করে দখলের চেষ্টা করছিলেন নুহু ইসলামরা। বাবা নিষেধ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার বাবা, ভাই ও ভাবিকে গুরুতর জখম করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমার বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।”

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ