পিএসএল খেলতে অনাপত্তিপত্র চেয়েছেন মিরাজ
Published: 19th, May 2025 GMT
সাকিব আল হাসানের পর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দেখা যেতে পারে আরেক বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। আসরের শেষ ধাপে খেলার জন্য ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। গণমাধ্যমে যা নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, 'মিরাজ পিএসএল খেলার এনওসি চেয়ে আবেদন করেছেন। এখন বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে।'
পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্স মিরাজকে নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। লাহোর কালান্দার্স নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এখনো কিছু জানায়নি মিরাজের ব্যাপারে। যদিও মিরাজ কোন দলের হয়ে খেলতে পারেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
জাতীয় দলের বর্তমান টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেই মিরাজ। ফলে তার পিএসএলে অংশগ্রহণে কোনো ঝামেলা দেখছে না বিসিবি। বোর্ডও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
চলতি আসরের শুরুতে পিএসএল ড্রাফট থেকে দল পেয়েছিলেন বাংলাদেশের লিটন দাস, নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। তবে ইনজুরির কারণে এক ম্যাচও না খেলেই দেশে ফেরেন লিটন। রিশাদ লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পাঁচটি ম্যাচে অংশ নিলেও নাহিদ পাননি মাঠে নামার সুযোগ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জেরে গত ৯ মে আসর স্থগিত হলে, বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফেরানো হয় এই দুই ক্রিকেটারকে। বর্তমানে তারা জাতীয় দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে রয়েছেন এবং পিএসএলে আর অংশ নিচ্ছেন না।
এই অনুপস্থিতির সুযোগেই লাহোর কালান্দার্সের হয়ে মাঠে নামার ডাক পান সাকিব আল হাসান। শনিবার রাতে পেশোয়ারের বিপক্ষে লাহোরের হয়ে অভিষেকও হয়ে গেছে তার। এবার সেই একই দলে মিরাজকেও দেখা যেতে পারে বলে সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এজবাস্টনে আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
যশস্বী জয়সোয়ালের সঙ্গে বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের যেন একটা অদৃশ্য যোগসূত্র রয়েছে। ভারতীয় এই টপঅর্ডার ব্যাটিংয়ে এবং সৈকত আম্পায়ারিংয়ে থাকলে একটা না একটা কিছু ঘটবেই। সেই মেলবোর্ন থেকে শুরু করে এই ধারাবাহিকতা এজবাস্টনেও চলছে। এর মধ্যে এজবাস্টনে জয়সোয়াল-সংশ্লিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে সৈকতের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।
ইংলিশদের মন খারাপ হওয়ারই কথা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও যে তাদের হাতে নেই। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিল। তাঁর ১৬১ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে ডিক্লেয়ার করেছে ভারত। এরপর ৬০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ৭২ রান করে চাপে আছে ইংল্যান্ড।
সর্বশেষ ঘটনাটি ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ বিকেলের। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে জয়সোয়ালের বিপক্ষে এলবির আবেদন করেন ইংলিশ পেসার যশ টং। আম্পায়ার সৈকত আঙুল তুলে আউট ঘোষণা করেন। জয়সোয়াল আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটার লোকেশ রাহুলের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ নেন।
সৈকত নিয়ম অনুযায়ী টিভি আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেন রিভিউ আবেদন। তবে এ সময় সৈকতের দিকে ছুটে যান বেন স্টোকস। ইংলিশ অধিনায়কের দাবি, রিভিউ নেওয়ার নির্ধারিত ১৫ সেকেন্ড পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সৈকত বলেন, ১৫ সেকেন্ডের ভেতরেই রিভিউ নিয়েছেন জয়সোয়াল। বিষয়টি নিয়ে স্টোকস ও সৈকতের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ তর্কও হয়। এর মধ্যে টিভি আম্পায়ার পল রাইফেল সিদ্ধান্ত দেন যে জয়সোয়াল আউটই ছিলেন। যার মানে, সৈকতের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। অথচ মাঝখান দিয়ে কত কিছু ঘটে গেল। বিশেষ করে বেন স্টোকসের ক্ষোভ প্রকাশের বিষয়টি বেশ দৃষ্টিকটুই ছিল।
এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও জয়সোয়ালের বিপক্ষে সৈকতের সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছিল ইংলিশরা। ক্রিস ওকসের বলে জয়সোয়ালের বিপক্ষে এলবির আবেদনে সাড়া দেননি বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত। সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ইংলিশ অধিনায়ক রিভিউ নিলে ‘আম্পায়ার্স কল’ বহাল থাকে। এর জেরে বোলার ওকস তো নিয়ম বদলের দাবি পর্যন্ত তুলেছিলেন। এজবাস্টন টেস্টে গতকাল চতুর্থ দিন প্রথম সেশন পর্যন্ত সৈকতের সাতটি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছে ভারত ও ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ব্রাইডন কার্সের বিপক্ষে সিরাজের এলবির নটআউট সিদ্ধান্ত বাদে আর একটিও সফল হয়নি।