সাকিব আল হাসানের পর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দেখা যেতে পারে আরেক বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। আসরের শেষ ধাপে খেলার জন্য ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। গণমাধ্যমে যা নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, 'মিরাজ পিএসএল খেলার এনওসি চেয়ে আবেদন করেছেন। এখন বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে।' 

পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্স মিরাজকে নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। লাহোর কালান্দার্স নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এখনো কিছু জানায়নি মিরাজের ব্যাপারে। যদিও মিরাজ কোন দলের হয়ে খেলতে পারেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। 

জাতীয় দলের বর্তমান টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেই মিরাজ। ফলে তার পিএসএলে অংশগ্রহণে কোনো ঝামেলা দেখছে না বিসিবি। বোর্ডও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।

চলতি আসরের শুরুতে পিএসএল ড্রাফট থেকে দল পেয়েছিলেন বাংলাদেশের লিটন দাস, নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। তবে ইনজুরির কারণে এক ম্যাচও না খেলেই দেশে ফেরেন লিটন। রিশাদ লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পাঁচটি ম্যাচে অংশ নিলেও নাহিদ পাননি মাঠে নামার সুযোগ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জেরে গত ৯ মে আসর স্থগিত হলে, বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফেরানো হয় এই দুই ক্রিকেটারকে। বর্তমানে তারা জাতীয় দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে রয়েছেন এবং পিএসএলে আর অংশ নিচ্ছেন না।

এই অনুপস্থিতির সুযোগেই লাহোর কালান্দার্সের হয়ে মাঠে নামার ডাক পান সাকিব আল হাসান। শনিবার রাতে পেশোয়ারের বিপক্ষে লাহোরের হয়ে অভিষেকও হয়ে গেছে তার। এবার সেই একই দলে মিরাজকেও দেখা যেতে পারে বলে সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসএল প এসএল

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ